পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ »8७ } সন্ধ্যাবন্দনাদিকে ধৰ্ম্ম বলিয়া থাকি এবং জলের শৈত্যাদিকে স্বভাব বলি। স্বভাব প্ৰকৃতি বা ধৰ্ম্ম এই তিনটী প্ৰায় এক পৰ্য্যায় । ১ । অতীত্যৈব গুণান সর্বান স্বভালো মুদ্ধিবৰ্ত্ততে। ২। প্রকৃতিনৈবমুচ্যতে। ৩ { এক এবং সুহৃদ্ধৰ্ম্মে নিধনেই প্যানুযাতি যঃ । এই তিনটা পদ্যাংশের ভাবাথ অনুশীলন করিলে সহজে বুঝা যাইবে যে, স্বভাব, প্ৰকৃতি বা ধৰ্ম্ম এই তিনটী শব্দ প্ৰায় এক পর্যায়। ব্যবহারেও দেখা যায় বিপত্তি পতনের পূর্বে যখন লোক ধৰ্ম্মের প্রতি অনাস্থাসম্পন্ন হয়, তখন্ত সাধারণে বলিয়া থাকে যে লোকটার স্বভাব খারাপ হইয়াছে —-প্ৰকৃতি ছাড়া হইয়াছে। তাহা হইলেই দেখুন স্বভাব, প্ৰকৃতি বা ধৰ্ম্ম এক প্রতিপাদ্যের , অন্তভুত কি না ? দার্শনিকগণ জীবের সঞ্চিত কৰ্ম্ম প্রারদ্ধে পরিণত হইলে, তাহাকে কেহ কেহ স্বভাব, কেহ।। প্ৰকৃতি, কেহ বা ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম বলিয়া উল্লেখ করিয়া থাকেন । দুঃখের বিষয় ধৰ্ম্ম বলিতে আমরা কেবল পূজা, পাঠ, দয়া-দাক্ষিণ্য বা শৌচসদাচার ধরিয়া, ভারতীয় হিন্দুধৰ্ম্মের বিশাল শরীরকে নিতান্ত সন্ধুচিত করিয়া ফেলি । সমুদ্রকে রত্নাকর না বলিয়া হীরকাকার বলা যেরূপ তাহার খ্যাতির সংকোচক, আমাদের সনাতন হিন্দুধৰ্ম্মকেও তদ্রুপ এক একটী নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে আবদ্ধ রাখা তাহার গৌরবের অবরোধক। তবে ব্যষ্টি স্বরূপ আলোচনার সময় তদ্রুপ সঙ্কোচ করা অমঙ্গলজনক নহে। কারণ