পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d R করিতেছে । কে বলিতে পারেন যে ভারতে উপস্থিত অশান্তির ইহা একটী অসাধারণ কারণ নহে ? অসূয়া, অসহিষ্ণুতা, উচ্ছ জ্বলতা, যথেচ্ছাচারিতা, অপরিনামদৰ্শিতা ও শাস্ত্ৰাদেশে অনাস্থা যাহাদের আদরের জিনিষ, তাহাদিগের কথা বলিতে পারি না, নতুবা সদাচারানুবৰ্ত্তী আৰ্য্য সন্তান রাজাকে ঈশ্বর-নির্বিশেষে ভক্তি করিতে বাধ্য । হয়ত কেহ কেহ বলিতে পারেন, দেশান্তরে যেখানে প্ৰজাতন্ত্র ও সাধারণ-তন্ত্রশাসনপ্ৰণালী পরিচালিত হইয়া বিশাল ভূখণ্ডের নিয়মন করিতেছে, সেখানে একজন রাজা বলিয়৷ পৃথক ব্যক্তির কল্পনার আবশ্যকতা কি ? কথাটা সত্য হইলেও তন্ন তন্ন করিয়া বিশ্লেষণ করিয়া দেখিলে পরিণামে যাহা সিদ্ধান্তিত হইবে, তাহা সেই রাজা ব্যতীত অপর কিছু নহে। মনে করুন যেখানে প্ৰজাতন্ত্র ও সাধারণ-তন্ত্র-শাসন স্বীকার করা যাইতেছে এবং তত্তৎস্থলে যে একটী সভার কল্পনা করা হইয়াছে, সেই সভার সভ্যগণ অসাধারণ শক্তি সম্পন্ন হইলেও কাহারও নিরপেক্ষ একটি শক্তি কাৰ্য্যকারিণী হয় কি ? হয়না । সমষ্টিশক্তিই নিয়ন্ত্রী । সেই সমষ্টিশক্তি আবার কোন এক সভ্যকে আশ্রয় করিয়া থাকেনা বা থাকিতে পারেনা ! বাক্যতঃ হউক বা কাৰ্য্যতঃ হউক, এই সমষ্টিশক্তির আশ্রয় অনুসন্ধান করিলে এক সেই রাজা ব্যতীত আর কাহাকেও দেখিতে পাই না। এই সমষ্টিশক্তির আশ্রয়ীভূত সেই রাজা ও নিরপেক্ষভাবে তাহার সেই শক্তির পরিচালনা করেন না,