পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩ } করাও অসম্ভব, করিলে, ইষ্ট অপেক্ষা অনিষ্ট অধিক হইত। হয়ত, পরিণামে একটা বিপ্লবের সূচনা হইত। অগ্নির দাহিকা শক্তি আছে সত্য, কিন্তু কাষ্ঠ ও তৃণাদির সংযোগ ব্যতীত যেরূপ সে শক্তির বিকাশ হয় না, তদ্রুপ সেই রাজনিষ্ঠ সমষ্টিশক্তির সভার সহায়তায় কাৰ্য্যকারিণী হয়। স্কুলদশিগণ সাক্ষাৎ সম্বন্ধে যাহা দেখেন তাঁহাতেই তাহদের সিদ্ধান্তের উপসংহার করেন : তাই সূক্ষম চিন্তার বিষয়ীভূত মৌলিক তত্ত্বের রহস্য উদঘাটন করিতে সমর্থ হন না। কথাটা একটা দৃষ্টান্তের সাহায্যে বুঝিবার চেষ্টা করা যাউক ; কলিকা হইতে অঙ্গার বা টীকা দৈবাৎ পড়িয়া যখন গায়ের কাপড় পুড়িয়া যায়, তখন আমরা বলিয়া থাকি অঙ্গার বা টীকা পড়িয়া কাপড়টা। পুড়িয়া গেল ; কিন্তু বলুন দেখি-অঙ্গার ত নিরাগ্নিদগ্ধ কাষ্ঠখণ্ড ; টীকা ত অঙ্গারচুর্ণের সংঘাত ; ইহাদের দাহিকা শক্তি কোথায় যে ইহারা দাহ-ক্রিয়া সম্পাদন করিল ? এতদুত্তরে অবশ্য বলিতে হইবে জ্বলন্ত অঙ্গার বা জ্বলন্ত টীকা। তাহা হইলে ধরুন, দাহিক শক্তি সম্পন্ন অগ্নি, যেমন অঙ্গার ও টীকার সহিত প্ৰচ্ছন্নভাবে থাকিয়া কাৰ্য্য করে এবং স্থূলদশীদের নিকট পরিচিত হয়না, তদ্রুপ প্ৰস্তাবিত দেশান্তরীণ শাসক সভার সহিত অভিন্ন হইয়া সেই বিশ্ববিশ্রুতি ঐশীশক্তি সম্পন্ন কোন ব্যক্তি যে প্রচ্ছন্নভাবে বিশাল ভূ-খণ্ডের নিয়মন করেন এবং স্কুলদর্শিগণের নিকট পরিচিত হননা ইহা একান্ত স্বীকাৰ্য্য ! তাই স্থূলদর্শিগণ সভাকেই সর্বস্ব' মনে করিয়া ক্ষরিতার্থ হয় ; পরস্তু অনিচ্ছায় - অজ্ঞাতসারে