পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হৃদয় ? বোধ হয় সকলেই একবাকো বলিবেন যে, সমাটের শরীর, ইন্দ্ৰিয় বা হৃদয় কেহই ভক্তির পাত্র নয়, সমাটুরূপ আধারে অধিষ্ঠিত এক ঐশীশক্তিই আমাদের আরাধা দেবতা ; এবং তাঁহার দেহ ও হৃদয় ভক্তি ও সম্মানের অন্যান্য পাত্র। এই যে আমরা দুর্গোৎসব আরম্ভ করিয়া মৃন্ময়ী প্ৰতিমার প্রতিষ্ঠা করি এবং প্ৰাণ-প্ৰিয়তম আরাধ্যা দেবতা বলিয়: তাহার প্রতি চিত্তকে এতটা "ভক্তিপ্রবণ করি, বলুন দেখি, সেই মৃন্ময়ী প্রতিমা প্রতিষ্ঠার পূর্বে ও বিসৰ্জনের পরে আমাদের সেই ভাব থাকে কি ? প্ৰতিমার প্রতি ততটা ভক্তি বা আস্থা রাখি কি ? প্রাণপ্ৰতিষ্ঠার পূর্বে মৃন্ময়ী প্রতিমার উপাদানীভূত মৃত্তিকাকে কারিকরের পদদলিত হইতে দেখিয়াছি ; কিছুই বলি নাই ; বিসৰ্জনের পর, প্রতিমাকে নিৰ্ম্মমভাবে জলে নিক্ষিপ্ত করিতে কুণ্ঠাও বোধ করি নাই ; কিন্তু মধ্যবৰ্ত্তী সময়ে যে, প্ৰাণাপেক্ষাও প্ৰিয়তম পিতা মাতা অপেক্ষাও ভক্তিভাজন ও কল্প বৃক্ষের ন্যায় আশ্ৰয়নীয় মনে করিয়াছিলাম, সে কাহাকে ? অবশ্যই বলিতে হইবে যে মন্ত্রোদ্বন্ধ মুদ্ময়ী প্ৰতিমায় প্রতিষ্ঠিত কোন এক অনির্বচনীয় ঐশী শক্তিই আমাদের আরাধ্য এবং ভক্তি ও সম্মানের পাত্ৰ । ইহা অপেক্ষা আরও সহজে বুঝিতে হইলে বলা যাইতে পারে যে সামান্য গ্ৰাম্য চৌকিদার হইতে আরম্ভ করিয়া মহামান্য বড় লাট পৰ্যন্ত, যে গবৰ্ণমেণ্টত্ব দেখিতে পাই, তাহা সেই অপরিচ্ছিন্ন, রাজশক্তি ছাড়া আর কিছু নহে। ইহা যখন