পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yv যে আধারে থাকুক না কেন, আৰ্যসন্তানের নিকট সম্মানাহঁ। আমরা আধারকে লক্ষ্য না করিয়াই এই শক্তির সম্মান করিয়া থাকি ; দুঃখের বিষয় বুঝিয়াও বুঝি না ; রামসিংহ, হনুমানসিংহ যখন চাকুরীর প্রার্থনায় দ্বারস্থ হইয়াছিল, তখন তাহাকে অৰ্দ্ধচন্দ্ৰ দিয়া বিদায় করিয়াছিলাম : দৈবাৎ যখন সে কনেষ্টবল হইয়া একখানি ওয়ারেন্ট হাতে করিয়া “বাবু কঁহাহায়” বলিয়া উপস্থিত হইল, তখন তাহাকে অন্যরূপে দেখিতে লাগিলাম । আবার যখন বেচারী ভাগ্যদোষে সম্মাচু্যত কুইল, তখন তাহার দিকে ভ্ৰক্ষেপ ও করিলাম না । পূর্বাপর অবস্থা আলোচনা করিলে অন্বয় ব্যতিরেকে যে সেই প্রচ্ছন্ন রাজভক্তির সত্তা স্বীকার করা হইতেছে এবং অলক্ষো তাহার প্রতি সম্মান প্ৰদৰ্শন করা হইতেছে ইহা না বলিয়া পারা যায় না। ---- সামান্য একটা কনেষ্টবলের নিকট রাজশক্তির আংশিক বিকাশ দেখিয়া যদি তাহার প্রতি সম্মান করিয়া থাকি তাহা হইলে সকলের মূলীভুত রাজরাজেশ্বর সম্রাটের প্রতি ভক্তি ও সম্মান প্রদর্শন করিতে ইতস্ততঃ করিব ; ইহা উপহাসের কথা ; অবজ্ঞার পরিচায়ক, আৰ্য্যত্বের কলঙ্ক । এখানে যেমন আধারের গুরুতা লঘুতা বিবেচনা না করিয়া আধেয়ীভূত ঐশী শক্তির সম্মান করিয়া থাকি, তদ্রুপ সম্রাট শরীরে প্রতিষ্ঠিত নররূপিণী দেবতা আমাদের চিরারাধ্য, চির