পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ولا ! ষ্ণুতা মাত্র। যাহার কৰ্ত্তব্য বোধ আছে, আত্ম বিস্মৃতি ঘটে নাই, তিনি কখনই একথা বলিতে পারেন না । লোকে প্ৰবল কামনা লইয়া কার্ঘ্যে ব্যাপৃত হইলে, কামনার আংশিক অপূৰ্ত্তিতে ক্ৰোধ পরাতন্ত্র হয়, ক্রোধবশতঃ সম্মোহী হয়, সম্মোহ বশতঃ অর্থাৎ জেদ হইতে স্মৃতি বিভ্ৰম ঘটায়, অর্থাৎ তিনি কে তাহার কৰ্ত্তব্য কি, এ বিষয়ে তঁহার স্মৃতি শক্তি বিলুপ্ত হয় ; স্মৃতি বিভ্ৰম হইলে বুদ্ধিনাশ হয় ; অর্থাৎ কৰ্ত্তবাকত্ত্বব্য বুদ্ধি একেবারে তিরোহিত হইয়া থাকে ; তখন তাহার অকানা বলিয়া আর কিছুই থাকেন। যথেচ্ছাচার প্রণোদিত হইয়া উচ্ছ জ্বাল হইয়; কত পাপ ও কত নৃশংসতা যে অকাতরে করিয়া থাকে তাহার সামঃ থাকেন । খরােতর করে পৃথিবীকে উপতপ্ত করেন বলিয়। মাধ্যন্দিন মাৰ্বণ্ডকে ও যখন চরমাচলের অন্তরালে অস্তমিত হইতে হয়, তখন ছার মনুষ্য, পরোপতাপী হইয়া শান্তিময় ঈশ্বরের পুণ্যরাজ্যে কয়দিন টিকিতে পারে ? আমনি হতভাগ্য বিনাশ প্রাপ্ত হইয়া স্বীয় পৈশাচিক তাণ্ডবের উপসংহার করে ; সেই সঙ্গে সঙ্গে নিজ পরিবার ও নিজ দেশকে বিবিধ অশান্তির আবাস ভূমি করিয়া দেয় । ইহা কল্পিত কথা নহে, স্বয়ং ভগবানই গীতায় বলিয়াছেন, “* * * কামাৎ ক্ৰোধোহভিজয়তে ক্ৰোধাৎ ভবতি সম্মোহঃ সম্মোহাৎ স্মৃতিবিভ্ৰমঃ। স্মৃতি ভ্ৰংশাদ্বদ্ধিনাশো বুদ্ধিনাশাৎ প্ৰণশ্যতি ||”