পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুম্বামিগণের ভবিতব্যতা। অসিত পক্ষের ঐন্দবীকলার ন্যায় দিনে দিনে রাজা ও জমিদারবর্গ কেন যে ক্ষীণ হইতে ক্ষীণতর হইতে চলিয়াছেন, অনেক সময় ইহা ঐকান্তিক চিন্তার বিষয়ীভূত হয়। অচিন্তনীয় বিষয়ের আকস্মিক আবির্ভাব” দেখিলে তাহার কারণ অনুসন্ধান করা মানুষের স্বাভাবিক, তাই হৃদয়ে স্বতঃই এই প্রশ্নের উদয় হয় যে, যে ভুম্বামিনিচয় একদিন উপচায়ের অনন্য আম্পদ হইয়া দেশের দৃঢ়তর ভিত্তিস্বরূপ ছিলেন এবং দেশের আশ্রয় ভরসাস্থল ছিলেন, আজ তাহদের মধ্যে প্ৰায় শতকরা পচানব্বই জন এতাদৃশ দীনদশার ক্রীতদাস কষ্টলেন কেন ? প্ৰণিধান করুন, দেখিতে পাইবেন, কেহ আজ আবহমান কালের অধিকৃত ভূসম্পত্তিটা দেনার স্রোতে ভাসাইয়া দিয়া পথের কাঙ্গাল, কেহবা নিরাপত্য হইয়া পুন্নাম নরকের ভীষণ যন্ত্রণায় অকালে কালের কবলে কবলিত, কাহারও বা পৈতৃক পৃথিবীটি উত্তাল তরঙ্গমালাকুল অকুল জলধি বক্ষে বা ত্যান্দোলিত ক্ষুদ্র তরণীর ন্যায় প্রমাণাধিক দেনায় যায় যায় করিতেছে। অকস্মাৎ কেন যে এরূপ হয়, ইহা ভাবিবার বিষয় নহে কি ? বিলিতেও হৃদয় আঘাত প্ৰাপ্ত হয়। বেশিদিন নহে, অল্প দিন পূর্বে যেখানে হিমাচলের উত্তঙ্গ শৃঙ্গ সদৃশ সৌধাবলী আকাশ ভেদ করিয়া শোভা পাইতেছিল, আজ সেখানে দুর্বা