পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ २२ } সুরাচ্ছাদিত স্থাপীভূত ভগ্ন ইষ্টকরাশি, স্বজনবর্গের সানন্দ কোলাহলের বিনিময়ে শিবাকুলের বিকট চীৎকার, গৌরাঙ্গীর সুরম্য হস্ম্য।--ভুজঙ্গীর ভীষণ গৰ্ত্ত, আর অসংখ্যা যাচকের দেহি দেহি শব্দের পরিবর্তে গভীর নিশীথে আজ পেচককুলের পৈশাচিক শব্দ মূৰ্ত্তিমান। অন্যদিকে দৃকপাত করুন, দেখিতে পাইবেন, যিনি একদিন ইহজীবনেই ধনে মানে দেশের শীর্ষস্থান অধিকার করিয়া শত শত যাচকের মনোeভীষ্ট পূর্ণ করিয়া জয় শব্দের পাত্র হইয়াছিলেন, তিমিই আজি নির্ধন, নিরান্ন, এমন কি একবস্তু হইয়া ভিখারীর বেশে চির-প্ৰতিপালিতের দ্বারস্থ । ইহা বাতীত আর এক শ্রেণী দেখিতে পাইবেন, যাহারা দেনার জালায় জৰ্জরিত হইয়া হতবুদ্ধি হইয়াছেন ও সম্পত্তিটা ভূত্যের তস্তে অর্পণ করিয়াছেন । নিজের অধিকার নাই । এমন কি স্বয়ং পৰ্য্যন্ত ভূত্যের অধীন,-ভূত্যের ক্রীড়া কন্দুক । হায়, কেন এরূপ হয় ? অনেক হৃদয়বান পুরুষ অনেক সময় ইহার কারণ অনুসন্ধিৎসু হইয়। কেহ বলেন সংশিক্ষার অভাব, কেহ বলেন, চাটুকারের অমোঘ বাগুরা, কেহ বলেন অঙ্গরহঃ অসৎ সংসর্গ এবং কেহ কেহ বলেন ব্যসনের আতিশয্যই এ অধঃপাতের অনন্য কারণ । শাস্ত্রকারেরা--- দৃত মাংস সুরা বেশ্য খোট চৌৰ্য্যপরাঙ্গনাঃ। মহাপাপানি সপ্তৈব ব্যসনানি ত্যজেদ্বন্ধঃ ॥ দৃত, মাংস, সুরা, বেশ্য, খেট (মৃগয়া ) চৌৰ্য্য ও পরস্ত্রী