পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ર 8 | মনিবের মনোরক্ষার্থ চাটুকার সাজিতে বাধ্য হন। সে অবস্থায় সুহৃদের সৎ পরামর্শ তপ্ত কটাহে জলবিন্দুর ন্যায় ক্ষণমাত্ৰ স্থান পায় না। প্রত্যুত ঘোর শক্রতার সূত্রপাত করে। ’ কাজে কাজেই তৎকালে প্ৰকৃত হিতাকাঙক্ষী সুহৃদগণ বিরাগের পাত্ৰ হইয়া বিতাড়িত হন। অসংখ্য চাটুকারে দুর্গ আছন্ন হইয়া পড়ে । যে ভূস্বামীর চালক চাটুকার তাহার আর পরিণাম বলিতে হইব্দে না, স্বয়ং নীতিশাস্ত্রকারই বলিয়াছেন “কো বা দুজন বাগুরাসু পতিতঃ ক্ষেমেণ জাতঃ পুমান।” দুৰ্জনের বাগজালে পতিত হইলে কে বা সুখে কালতিপাত করিতে পারিয়াছে ? কেহই নহে। চাটুকারের দল প্রাবল্য লাভ করিলে সতের সন্থ। আর থাকে না। স্বর্থপরায়ণ, ভণ্ড, পাষণ্ড, ক্লাব, কীলক প্রভৃতি অসংখ্যা অসৎ অনুচর অনুক্ষণ আজ্ঞাবহ হইয়া প্রভুর বল, মেধা, ধন, ধৈৰ্মা, বীৰ্য্য অপহরণ করিয়! থাকে । সে কাপুরুষনিচয়ের নীচ ব্যবহার বিশদভাবে ব্যাখ্যাত করিয়া লেখনীকে দূষিত ও কলঙ্কিত করা আমাদের অভিপ্ৰেতি নহে। কেবল কীলকের কদৰ্থ টাকে কথঞ্চি"ত লিপিবদ্ধ করিয়া বিরত হইলাম । “সৰ্কীলক ইতি প্রোক্তে যঃ িৈক্লব্যাদাত্মনঃ স্ক্রিয়ং। অন্যোন্য সহ সংযোজ্য পশ্চাৎ তামোব সেবাতে ৷” সে নিজের স্ত্রীকে অন্যের সহিত সংযুক্ত করাইয়া পশ্চাৎ তাহাকে গ্ৰহণ করে, তাহার নাম কীলক । ধিক তাহদের মনিবের মনোরক্ষা । আর ধিক তাহদের সেই কদৰ্য্য উপাৰ্জন !