পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 9o আশু অস্বাস্থ্যকর রাত্ৰি জাগরণাদি নিদান নিচয় যোগদান করিয়া মাত্রার পূর্ণতা প্রতিপাদন করিল, নিদান পূর্ণমাত্রায় অবতীর্ণ হওয়ায় ক্ৰমে তত্তৎ, নিদানজনিত এক একটা দুরারোগ্য রোগের সূত্রপাত হইতে লাগিল। রোগপরম্পরা স্বত্ত্বেও যুবক ঠেকিয়া শিখিলেন না, বুঝিয়া বুঝিলেন না, চিরাভ্যাসবশতঃ সেই বিষময় নিদান পূর্ববৎ পূর্ণমাত্রায় সেবন করিতে প্ৰবৃত্ত থাকিলেন। কিন্তু হয় । সে আর কয়দিন, ক্ৰমে বিষক্রিয়া মগজা পৰ্য্যন্ত, অধিকার করিল ; শরীর ও ইন্দ্ৰিয়- গ্রাম জডিক্তরিত হইল ; সদৰ প্ৰথমে যুবা স্বৰ্গীয় সুখ-স্বাস্থ্যটিকে বিসৰ্জন দিয়া বসিলেন । স্বাস্থ্যের অভাব্যবশতঃ যুবকের আয়ু, ধন, ধৰ্ম্ম, মেধা ইত্যাদি যাহা কিছু মনুষ্যের মনুষ্যত্ন, সবই অন্তৰ্হিত হইল । তাহাতে কেহ জননেন্দ্ৰিয়ের বৈকল্য নিবন্ধন সন্তানোৎ পাদিক-শক্তি হরাইয়ং পুন্নােম নরকের পথ পরিস্কার করিলেন । কেহ অসহায় আত্মীয়বৰ্গকে অকুলে ভাসাইয়া অকালে ইহলীল! সম্বরণ করিলেন, কেহ অসাধ্য রোগের অসহ্য যন্ত্রণায় জজরিত হইয়া জীবনের অসারত উপলব্ধি করিয়া আত্মঘাতী হইতে উদ্যত হইলেন ; কেহবা নানাবিধ বিষাক্ত ঔষধ সেবন করিয়া দিন কয়েকের জন্য কথঞ্চিৎ স্বয়ং স্বাস্থ্যলাভ করিলে ও বিরুত বিষসম্পৃক্ত বীৰ্য্যে যে কয়টা সন্তান সন্ততি উৎপাদন করিয়া গেলেন, তাহাদের মধ্যে কেহ বা অল্পায়ু, কেইবা চিররোগী, কেহ বা বিকলাঙ্গ হইয়া পিতার ন্যায় জ্বালাময় জীবনলাভ করিল।