পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t8 অর্থাৎ শরীরে ঠাণ্ডা লাগাইলে হঠাৎ সর্দি, কাশি, কফ ও বাত (নিউমোনিয়া) পৰ্যন্ত হইতে পারে, ইহা অনেকের অনুভূত। সুতরাং আশ্বিনের ন্যায় কাৰ্ত্তিকে কেবল পিত্তনাশক আহার ও বিহার স্বাস্থ্যের অনুকুল নয়। কফ-পিত্তনাশক অথবা ত্ৰিদোষনাশক আহার ও ব্যবহার অনুকূল। যে মৎস্য কথা লইয়া প্ৰশ্ন, উঠিয়াছে, এক্ষণে তাহার গুণাগুণ বিবেচনা করিয়া দেখিবার আবশ্যক যে, স্বাস্থ্যান্বেষীর পক্ষে তাহা ভোজনের অনুকুল কি না ? মৎস্যান্থ বৃংহণা: সৰ্বে গুরবঃ শুক্রবদ্ধনাঃ, বাল্যাঃ সুিগ্ধোঞ্চমধুরাঃ কফপিত্তকরা: স্মৃতিঃ । অর্থাৎ--সাধারণতঃ মৎস্য সকুল মধুর রস, উষ্ণবীৰ্য্য, স্নিগ্ধ, গুরুপাক, পুষ্টিকর, রক্তপিত্তকারক ও কফপিত্তজনক। পূর্বে আয়ুৰ্বেদ ও স্মৃতি উভয়ের মতে প্ৰতিপন্ন করা হইয়াছে যে, কাৰ্ত্তিকে লঘু অর্থাৎ যাহা সহজে জীৰ্ণ হইতে পারে তাঁহাই সেবন করিবে, পিত্তনাশক দ্রব্য ব্যবহার করিবে: এবং আহারের সঙ্কোচ করিবে । বিশেষতঃ কাৰ্ত্তিক মাসটা শরৎ ও হেমন্তের সন্ধি বলিয়া কফপিত্তনাশক দ্রব্য আহার ও ব্যবহার করা সর্বগা বিধেয় । এরূপ অবস্থায় কফপিত্তকারক, রক্তপিত্তজনক ও গুরুপাক , মৎস্য ভক্ষণের নিষেধাজ্ঞা প্রচার করিয়া স্মৃতিকার অপরাধ করিয়াছেন ইহা চিন্তা করা সঙ্গত নহে। আয়ুৰ্বেদ স্বাস্থ্যহানির ভয় দেখাইয়া যাহা নিষেধ করিতেছেন, স্মৃতি, পুৰ্ণ্যহানি ও নরকের ভয় দেখা