পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t t ইয়া সেই নিষেধের সমর্থ করিতেছেন কি না। সুধীগণ তাহা বিবেচনা করুন। বিশেষতঃ কাৰ্ত্তিক মাস-সুলভ ক্ষেত্ৰজ প্ৰৌষ্ঠী (বিলের পুঠি মাছ) মৎস্যের মধ্যে কিরূপ গরিষ্ঠ ও স্বাস্থ্যনাশক তাহা সাধারণের অবিদিত নাই। মূৰ্ত্তিমান পিত্তস্বরূপিণী পুঠি মাছ যে ম্যালেরিয়া দেবীর জীবন্ত আমন্ত্রণ পত্রিকা বােধ হয় অনেকেই ইহাতে সহাস্য অঙ্গীকার প্রদান করিবেন। সেই পুঠি সস্তার দিনে এবং সাধারণতঃ কাৰ্ত্তিক মাসে ‘মৎস্য ভক্ষণ নিষেধের আদেশ’ দিয়া, স্মৃতি ভিতরে ভিতরে আয়ুৰ্বেদের অমোঘ উপদেশ হিন্দুজাতির শিরায় শিরায় যে প্ৰবাহিত করিয়া দেন নাই ইহা কে বলিতে পারে ? ইহাতে অঙ্গীকার দিবার কুণ্ঠ প্ৰকাশ করিলে দগ্ধোন্দরের বশীকরণকে উচ্চাসন দেওয়া হইবে না কি ? আয়ুৰ্ব্বেদ আরও বলেন?--শারতে তুষারক্ষারসৌহিত্য-দধিতৈলবসাহিতপান, তীক্ষমদ্ভদিবাস্বপ্ন-পুরোবাতান পরিত্যজেৎ। অর্থাৎ—নীহার, ক্ষার, উদরপূর্ণ ভোজন, দধি, তৈল, বসা (চর্বিব) বিশিষ্ট জিনিষ, সূৰ্য্যাতিপ, তীক্ষ মদ্য, দিবা নিদ্রা, ও পূর্ব বায়ু পরিত্যাগ করবে। তাহা হইলে তৈলিক পাচা, অন্যথা দূষা, চকবীব্যাপ্ত এবং পূর্ণভোজনের সম্পূর্ণ সহায় সেই মৎস্য র্তাহার মতে শরতে একান্ত পরিত্যজ্য কি না, তাহা বিজ্ঞামগুলী বিবেচনা করুন। কেবল মৎস্য ভক্ষণ নিষেধ বলিয়া নয়, স্মৃতি-মূতানুসারে কাৰ্ত্তিক মাসবিহিত হবিন্যান্নোপযোগী