পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७१ } কিঞ্চিৎ অভিমানের সঞ্চার হওয়ায় সর্বান্তৰ্যামী ভগবান তাহা বুঝিতে পারিয়া কৌশলে একজনের গৰ্ব্ব-খৰ্ব করতঃ সৎপথে আনয়ন এবং অপর একজনের মহত্ত্ব-প্ৰকটন-মানসে অর্জনকে বলিলেন- “সখে ! শুনিতেছি। রাজা ময়ুরধ্বজ অতিশয় হরিাভক্ত ও ধৰ্ম্মভীরু । চল একবার ছদ্মবেশে গমন করতঃ রাজার হরিভক্তি ও ধৰ্ম্মভীরুতা প্রত্যক্ষ করিয়া আসি।” অর্জনও অন্তৰ্দ্দামীর অন্তরের কথা বুকিতে না পারিয়া “তাঁহাই হউক।” বলিয়া সম্মতি প্ৰদান করায় ভগবান অৰ্জনকে একটি সুন্দর বালকের বেশে সাজাইয়া এবং স্বয়ং বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণের রূপ ধারণ করিয়া রাজদ্বারে উপস্থিত হইলেন। দৌবারিক দ্রুতপদে রাজাকে “দ্বারে অতিথি উপস্থিতির” বাৰ্ত্তা প্ৰদান করিল। রাজা তখন কৃষ্ণসেবায় অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন ; সুতরাং দৌবারিককে বলিলেন—“তুমি তাহাদিগকে কিয়ৎক্ষণের জন্য দ্বারে সম্মানের সহিত উপবিষ্ট করাও, আমি অবিলম্বে যাইতেছি ।” অতিথিদ্বয় দৌবারিকের নিকট এই রাজাজ্ঞা অবগত হইয়া ছল করিয়া কিঞ্চিৎ ক্ৰোধের ভাণ করতঃ “তবে রাজা অতিথির উপেক্ষা করিলেন” এই বলিয়া রাজদ্বার পরিত্যাগ । পূর্বক প্রস্থনােদযোগ করিতেছেন ইত্যবসরে রাজা আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং ব্ৰাহ্মণের চরণযুগল ধারণ করিয়া কাতরস্বরে স্বীয় দোষের ক্ষমা প্রার্থনা করতঃ আতিথ্য স্বীকার জন্য পুনঃ পুনঃ অনুরোধ করিতে লাগিলেন। ব্ৰাহ্মণ মিথ্যা কোপ প্রদর্শন করতঃ বলিলেন, “যদি আমার একটি প্রার্থনা পূর্ণ করি