পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r [ پجاتا ] বার প্রতিজ্ঞা করি, তাহা হইলে তোমার দোষ ক্ষমা করিতে পারি এবং তোমার দ্বারে অতিথিও হইতে পারি, নতুবা নহে।” রাজা ব্ৰাহ্মণের এই কথা শুনিয়া বলিলেন-“আমি প্ৰতিজ্ঞা করিতেছি আপনার প্রার্থনা পূর্ণ করিবার জন্য যদি আমাকে রাজ্য, ধন, জন, পুত্ৰ, কলাত্র অথবা অধিক কি যদি জীবনও পরিত্যাগ করিতে হয় তাহাতেও আমি কাতর নহি । আপনি প্ৰসন্ন হউন, দোষ ক্ষমা করুন, আতিথ্য স্বীকার করুন।” ব্ৰাহ্মণ রাজার এই বিনয়-মধুর ব্যবহারে এবং ক্ষত্ৰিয়োচিত প্ৰতিজ্ঞাবাক্যে আনন্দিত হইয়া বলিলেন, “সন্তুষ্ট হইলাম, দোষ ক্ষমা করিলাম, আতিথ্য স্বীকার করিলাম ।’ পরে রাজা আনন্দিত হইয়া যথাবিধি সৎকার করত: আসনে উপবিষ্ট করাইলেন। কিয়ৎক্ষণ শান্তিলাভের পর রাজা করযোড়ে বলিলেন “এ দাসকে তাহার কৰ্ত্তব্যকৰ্ম্মে নিয়োজিত করিয়া অনুদ্বিগ্ন করুন।” ব্ৰাহ্মণ রাজার এই বিনয়নােম বাক্যে প্রীত হইয়া বলিলেন- “রাজনী ! তোমার ব্যবহারে পরম পরিতুষ্ট হইয়াছি। ব্যবহার কুলোচিতই হইয়াছে। প্রিয়ংবদা ! প্রার্থনা আর কিছুই নতে-যখন আমি তোমার রাজধানীতে আসিতেছিলাম। সেই সময়ে পথে বনমধ্যে দৈববশতঃ এক সিংহের সহিত সাক্ষাৎ হয়। সিংহ আমার সঙ্গী এই বালকটিকে উদরসাৎ করিবার ইচ্ছা প্ৰকাশ করে। তখন আমি অনন্যোপায় হইয়া সবিনয়ে কাতরঙ্গরে সিংহকে বলিলাম “পশুরাজ ! श्क्नुठु & । করা: ইহা তোমার রাজ্যোচিত কাৰ্য্য নহে।