পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. . ) এই দেহ যে ইদানীং আমার হইয়াছে, তাহাতে আমার সন্দেহ নাই । কিন্তু আরও একটি কথা আছে নিৰ্দয় সিংহ আসিবার কালে, আরও বলিয়াছে যে “রাজাব দেহত আপনি অথবা অন্য কেহ ছেদন করিলে হইবে না। রাজমহিষী ও যুবরাজ উভয়ে করপত্র যোগে যদি কৰ্ত্তন করিয়া দেন তাহা হইলেই আমার ভোগ্য হইবে। অন্যথা এই বালকই তামার ভোগ্য স্থির জানিবেন।” রাজা ইহা শ্রবণ কবিতঃ “তথাস্থ” বলিয়া মহিষী শু যুবরাজকে ডাকাইয়া ভঁহাদের নিকট প্রতিজ্ঞার কথা আনুপূর্নির্বক বিবৃত করিয়া বলিলেন, “যদি আমি তোমাদের প্রিয় হই, প্ৰতিজ্ঞা ভঙ্গ হেতু আমার ইত্যলোকে অযশঃ ও অন্তে নরকৰাস যদি তোমাদের, অভিপ্রেতি না হয় ; তাহা হইলে তোমরা ব্ৰাহ্মণের আদেশমতে "অকাতবে কবিপত্র গ্ৰহণ করিয়া আমাকে ছেদন করতঃ প্ৰতিজ্ঞাপাশি হইতে উদ্ধাব করিয়া নরক ও অযশঃ হইতে পরিত্রণ কর।” পিতার অনুরূপ পুত্ৰ, পতির অনুরূপ পত্নী । সুতরাং উভয়েই রাজবাকা অনুমোদন করতঃ সহৰ্নে রাজার মস্তকে কারপত্র চালন করিতে আরম্ভ করিলেন । নাসিক পৰ্য্যন্ত কৰ্ত্তিত হইয়াছে ইত্যবসরে বাজার বামচক্ষু হইতে হঠাৎ অশ্রু ঝরিতে লাগিল। তাহা দেখিয়া ব্ৰাহ্মণ ক্রুদ্ধ হইয়া বলিলেন “দুৰ্ম্মতে ! তুমি প্ৰতিজ্ঞা করিয়া সামান্য দেহদানে কাতর হইলে ? আমার এ দেহে প্ৰয়োজন নাই আমি চলিলাম তুমি প্ৰতিজ্ঞা ভঙ্গের ফল ভোগ কর।” তখন রাজা সবিনয়ে বলিলেন “দ্বিজবর ! এ দাস নশ্বর তুচ্ছ দেহ