পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ १> ] দানে অণুমাত্ৰ কাতর নহে। তবে দক্ষিণাঙ্গ পরোপকারে বায়িত হইবে। আর আমি ভস্ম বা কুমিকীটে পরিণত হইব’ ইহাই ভাবিয়া বামাঙ্গ ক্ৰন্দন করিতেছে। দ্বিজবর ! দয়া করিয়া ইহার ও সদগতি বিধান করুন।” ছদ্মবেশী ব্ৰাহ্মণরূপী চরি রাজার এই অকপট কথা শ্রবণ করতঃ অতিশয় আনন্দিত হইয়া নিজ প্ৰকৃত রূপ প্ৰকাশিত করিলেন এবং বলিলেন “যুবৰাজ ! বিরত হও । রাজন ! আমি তোমার ভক্তি ও ধাৰ্ম্মিকতা পরীক্ষা করিবার জন্য এই ছল করিয়াছিলাম। আজ তুমি আমার এই কঠিন পরীক্ষায় উৰ্ত্তীর্ণ হওয়ায় অনিৰ্বাচনীয় আনন্দ লাভ করিলাম । প্ৰিয়তম ! অদ্য তোমার তপস্যা সফল হইল। যাও জীবনের অবশিষ্ট কয়েকদিন সুখে সংসারযাত্ৰা নিৰ্বাহ করতঃ অন্তে বৈকুণ্ঠ লাভ কর।” ভগবানের সুধামধুর বাক্যে ও সংদর্শনে রাজার শরীর ও মন অতিশয় সুস্থ হইয়া উঠিল ; শবীর পূর্ববৎ হইল। রাজা, রাণী ও রাজপুত্র হৃদয়ের আরাধ্যধন কৃষ্ণচন্দ্রকে সম্মুখে পাইয়া মনোমত পূজা করিয়া চরিতার্থ হইলেন । এবং বলিলেন “দয়াময় । যদি আমার প্রতি দয়া করিয়া থাকেন তাহা হইলে দয়া করিয়া আমার একটি প্ৰাৰ্থন পূর্ণ করিতে হইবে। কৃপাময় ঈদৃশ কঠোর পরীক্ষা যেন আর কাহারও প্ৰতি করা না হয়।” ভগবান কৃষ্ণচন্দ্ৰ “তথাস্ত” বলিয়া বিদায় গ্ৰহণ করিলেন। অর্জন রাজার এই অদৃষ্ট অশ্রুতচর অলৌকিক ভক্তি দেখিয়া অতিশয় বিস্মিত হইলেন । তাহার অভিমান অঙ্কুরেই বিলীন হইল। এবং