পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ १७ ] সাহায্যে আজ তাহা হস্তামিলকের ন্যায় সম্মুখে অবভাসমান হইতেছে। পুরাণাদির আলোচনা করিলে অবগত হওয়া যায়, অনেক সময়ে অনেক বিষয়ের তত্ত্বানুসন্ধিৎসু হইয়া, ঋষিগণ অনাহারে অনিদ্রায় অনন্যচিন্তায় অতি দীর্ঘকাল তপস্যা করিতেন বটে, অবশেষে স্বীয় ভূত ও ইন্দ্ৰিয়গ্রামকে কষ্ট দেওয়াই শেষ ফল দাঁড়াইত। কিন্তু প্ৰকৃত তত্ত্বের কিছুই মীমাংসা তইত না । আজ কাল ও হইতে ছিল না। ভাষানুবাদ রূপ নব বিভােকর যে দিন হইতে বিজ্ঞান রূপ ময়ুখমালায় আমাদের জন্ম জন্মান্তরীণ আন্তরিক গাঢ় অন্ধকারকে দূরাপিস্ত করিয়াছে, সেই দিন হইতে জগৎ যে ক্ৰমশঃ উন্নতির পথে অগ্রসর হইতেছে। ইহা কে না। বলিবে ? আরও পূর্বে যিনি কোন এক গ্রন্থের কোন একটা তত্ত্ব সংগ্ৰহ করিতে পারিতেন, তিনি তাহ প্ৰাণ পেক্ষ প্রিয় করিয়া এবং ধনাপেক্ষ। নিভৃত স্থানে রাখিয়া জনসাধারণের নিকট যাহত একটা মিথ্যা আড়ম্বর দেখাইতেন বা জনসাধারণাকে তত্তজন্য যাহা দ্বারা উৎকষ্ঠিত করিতেন, ভাষানুবাদের সাহায্যে সেই সার্থপর আত্মম্ভরি ব্যক্তিনিচয়ের সেই বৃথা গর্ব ও মিথ্যা আড়ম্বর একেবারেই চূর্ণ হইয়াছে। এবং তত্ত্বপিপাসু ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসু ব্যক্তিগণকেও অনর্থক উৎকণ্ঠার অধীনতা স্বীকার করিতে হইতেছে না। আরও সুবিধা দেখুন, ইতঃপূর্বে যদিও কেহ কেহ কথঞ্চিৎ কিছু কিছু শাস্ত্ৰ মৰ্ম্ম সংগ্ৰহ করিতে পারিতেন, কালক্রমে একবার যদি তাহা বিস্মৃতিরূপ গভীর গুহায় বিসৰ্জিত হইত, তাহা হইলে, তাহা আর প্রায়ই মিলিত না। যদিও কথঞ্চিৎ কিছু উদ্ধত