পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, s ) হাইতি, তাহ আবার সন্দেহ-পাংশু-বিজড়িত হইয়া বিভিন্নাকাবে পরিণত হইত। ভাষানুবাদ আজ আমাদের প্রাণীপেক্ষ প্ৰিয়তম সেই শাস্ত্ৰীয় তত্ত্বগুলিকে বিস্মৃতি পিশাচীর কারাল কবল হইতে চির রক্ষা করিতেছে । যখন যে বিষয়ের আবশ্যকতা উপলব্ধি হইতেছে, তখন তত্তৎ বিষয় স্মৃতিপথে উদিত না হইলে ও লবমাত্ৰ কায়িক পরিশ্রম স্বীকার করিয়া ভাষানুবাদ পূত শাস্ত্র গ্রন্থ খুলিয়া দেখিলে অনায়াসে তত্তৎস্থল অবভাষিত হইতেছে ও অভূতপূর্ব আনন্দ জন্মাইতেছে । তজজন্য লবমাত্রে মানসিক পরিশ্রম বা ইটতরের তোষামোদের আদৌ। আবশ্যকতা হয় না । অতএব দেখা যাইতেছে যে ভাষানুবাদের হিতকর আবির্ভাবে শাস্ত্রীয় সারনিচয় তাম্রফলক।-খোদিত বৰ্ণাবলীর ন্যায় অক্ষুন্নভাবে প্ৰতি গৃহে সংরক্ষিত হইল। আর ও ভাবিয়া দেখুন, ভাষানুবাদ হইবার পূর্বে তাধিকাংশ সংস্কৃত গ্রন্থের নামই অবিদিত ছিল। যদিও স্থানে স্থানে কতকগুলি সংস্কৃত গ্রন্থের অধ্যযন অধ্যাপনাচলিত, তাহা সাৰ্ব্বভৌম বা সাৰ্বজনীন নহে। ভাষানুবাদ আমাদের সে শোচনীয় অভাব আজি দূর করিয়াছে। সম্প্রতি মহামহোপাধ্যায় হইতে আরম্ভ করিয়া সামান্য একটী কৰ্ম্মচারী পৰ্য্যন্ত সকলেই সংস্কৃত শাস্ত্রের অল্পাধিক ভাবে আলোচনা করিতে উৎসাহিত হইতেছেন। এবং সংস্কৃত গ্ৰন্থ যে কি জিনিষ ও পূর্বকালীন আন্ধাগণের যে কাদৃশী প্ৰতিভা ভাষানুবাদই তাহা জগৎকে জানাইয়া দিতেছে বলিলে অত্যুক্তি হয় না। পূর্বে এই ভারত ছিল এবং এই ভগবদগীতাও ছিল, কিন্তু উপস্থিত সময়ের ন্যায়