পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ শত সহস্ৰ যত্নেও যে তাঙ্গা অণুমাত্র মীমাংসার পথে আরূঢ় হইবে ইহা ভাবাই ভ্ৰান্তি। তবে যাহা কিছু সম্প্রতি পরিদ্রুত বা নািতন বলিয়া প্ৰতীতি গোচর হয়, তাহা আৰ্য্য শাস্ত্রের আমূল আলোচনার অভাব মাত্র । এখনও আমাদের শাস্ত্রীয় গ্রস্ত পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে আলোচনা করিলে, যে সমস্ত সারনিচয় দৃষ্টিপথে তাইসে, তাহার শতাংশের একাংশও আধুনিক কেহই আবিষ্কৃত করিতে পারেন নাই বা পরিবেন না । ইহা একান্ত সত্য যে, যাহা ছিল না, তাহা আজও নাই ; যাহা নাই, ভবিষ্যতেও তাহা হইবে না। স্বয়ং ভগবান স্পষ্টাক্ষরে বলিয়াছেন—“নাসতো বিদ্যুতে ভাবে নাভাবে বিদ্যতে সতঃ ।” মনে করিবেন না যে, আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নতি হইয়াচে । দেখাইতে গেলে প্ৰবন্ধটার কলেবর বৃদ্ধি হয় তাই বিরত হইলাম । এক কথায় বিজ্ঞান এখনও আমাদের শাস্ত্ৰান্তৰ্গত বহুতর বিষয়ের ছায়াস্পৰ্শ করিতে সমর্থ হয় নাই । তবে যে দু একটা তত্ব বিজ্ঞানের সাহায্যে বহির্গত হইয়াছে বলিয়া মনে হয়, তাহা যে ত্রিকালজ্ঞ ঋষিগণের অবিদিত ছিল ইহা নহে। আর্ম্য ঋষিগণ তত্ত্যুৎ বিষয়ের কৰ্ত্তব্যতা মাত্র প্রকটিত করিতে উদ্যত হইয়া উপকারিতাকে গৌণভাবে রাখিয়া গিয়াছেন। উদ্দেশ্য--পাপাঙ্গুর সকামধৰ্ম্মের প্রাবল্য দূরীভূত করিয়া, নিষ্কাম ধৰ্ম্মেরই জয়পতাকা উডতীন করা। তবে সংপ্ৰতি যুগমাহিত্যুে পাপ সকামধৰ্ম্মের অনন্য আধিপত্যে অধঃপাতের পথ পরিস্কৃতি হইবে বলিয়া গৌণ পক্ষই মুখ্য ও মুখ্য পক্ষ গৌণ এবং অনা