পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দরণীয় হইতে বসিয়াছে । তাহা না হইলে ইদানীন্তন একজন মাত্র বৈজ্ঞানিক আমেরিকান সাহেবের নিকট গঙ্গাজলের লঘুত৷ ও পাচকতা ইত্যাদি উপকারের কথা একবার মাত্ৰ শুনিয়া, আমাদিগের নব্য সমাজ তাহার পক্ষপাতে বদ্ধপরিকর হইলেন কেন ? আর আবাহমান কাল ত্রিকালজ্ঞ আৰ্য্যঋষিমা গুলী যে, এই পবিত্ৰ গঙ্গাজলের পবিত্ৰ সম্পর্শে ইহকাল ও পরকাল পবিত্র করিতে ভুরি ভুরি উপদেশ প্রদান করিয়া আসিতেছিলেন, তাহাতেই বা সমাজ সন্দিহান ছিলেন কেন ? ফল একই হইল, কেবল গঙ্গাজলের মুখ্য পবিত্ৰতা দূরে গিয় গৌণ উপকারিতাই এ ক্ষেত্রে জয়শ্ৰী লাভ করিল। তাই বলিতেছিলাম, বিজ্ঞান আপাতঃমধুর গৌণ পক্ষকে তন্ন-তন্ন ভাবে দেখাইয়া পাপ সকামধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠা করিতে উদ্যত হইয়াছে। নিষ্কাম ধৰ্ম্মের একান্ত পক্ষপাতী সেই প্ৰত্ন ঋষিগণ, অনায়াসে সমস্ত অবগত হইয়া থাকিলেও এ পক্ষকে - গৌণ রাখিয়া মুখ্যপক্ষ নিত্য কৰ্ত্তব্যতাকেই বিশেষরূপে দেখাইয়া গিয়াছেন। অতএব বুঝিবার দোষে ভাষানুবাদের উপকারাভাসেই অনেকেই মুগ্ধ, হইতেছেন । ফলতঃ তাহাতে অনুপকার হইতেছে । আরও দেখুন, অনেকেরই ধারণা যে, পূর্বে নাকি যাহারা কিছু জানিতেন। তাহা প্ৰকাশ না করিয়া অনেককে উৎকণ্ঠিত করিতেন। ভাষানুবাদের প্রভাবে আজ তাঁহা নাই। ইহা সত্য হইলে ও পূর্বপ্ৰথা মন্দ ছিল না । তদ্দারা শাস্ত্রের মৰ্য্যাদা ছিল ; এবং যথাপত্রেই তাহা অৰ্পিত হইত। সম্প্রতি আব্ৰহ্মচণ্ডাল সকলেই