পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AFI ) বেদে অধিকারী, সকলেই বেদতত্ত্ববিদ। পারিজাত মঞ্জরীতে আজ এক ইন্দ্ৰাণীর অধিকার নাই। শুনা, শুকরা, বানরা সকলেরই অধিকৃত হইয়া পদদলিত হইতেছে। বৈজয়ন্তী আক্তি ভগবানের কণ্ঠচুৰ্ণত হইয়া বানরের হস্তে খণ্ড খণ্ড হইতেছে । ইহাই যদি সদ্বস্তুর সদ্ব্যবহার, তাহা হইলে স্বীকার করিলাম, ভাষানুবাদ আমাদের প্রভূত উপকারী। হায়! বলিতেও দুঃখ হয়, বেদের নাম আজ হইয়াছে চাষার গান।” শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা হইতে কৃষ্ণ, অৰ্জ্জুন উঠিয়া গিয়া আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যায়। জাব ও ব্ৰহ্ম, আর ধৃতরাষ্ট্র ও সঞ্জয় উঠিয়া গিয়া মন ও বুদ্ধি তইলেন। দুৰ্য্যোধন প্রভৃতি হইলেন। আশা। এইরূপ অভিধান ছাড়া অভূতপূর্ব অচিন্তনীয় অর্থের অবতারণা করিয়া ভাষানুবাদ যদি আমাদের উপকার করিয়া থাকে, তাহা হইলে বলিবার কিছুই নাই । তাহ) ন হইলে ভাষানুবাদ - যে, প্ৰকারান্তরে ভয়ঙ্কর অনিষ্টের সূত্রপাত করিতেছে ইঙ্গা কে না বলিবে ? অনেকের বিশ্বাস, পূর্বে যাহা আমাদের একটা বিস্মৃতির ভয় ছিল, ভাষানুবাদের দ্বারা আজ তাহা নাই। বিস্মৃতির ভয় নাই সত্য, পরস্তু ভাষানুবাদে নিশ্চিন্ত হইয়া মানসিক উন্নতির অনন্য নিদান সেই গবেষণাই আমাদের উঠিয়া যাইতেছে । ভবিষ্যতে আর যে কোন বিষয় চিন্তাপথে আসিয়া প্ৰতিভার বিকাশ সাধন করিবে: ইস্তার আশা নাই । বোধ হয় কিছুদিন পরে প্রত্যেক কথাতেই পুস্তক খুলিতে হইবে। পূর্বে কোনও এক বিষয়ের চিন্তা করিতে বসিলে তদানুষঙ্গিক কত বিষয়ই জানিতে সক্ষম হওয়া