পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to যাইত । সম্প্রতি ভাষানুবাদে নিশিচন্ত হইয়া আমাদের ধীশক্তি এতই সঙ্কুচিত হইয়া গিয়াছে য়ে, নিগৃঢ় বিষয় ভাবা ত দূরের কথা, সামান্য একটী বিধি ব্যবস্থা দিতে হইলে বা যৎসামান্য একটা শব্দার্থ জানিতে হইলে পুস্তকের পাতা না উল্টাইয়া আর । রক্ষা নাই। পূর্বে পাণ্ডিত্য ছিল অন্তরে, সম্প্রতি পাণ্ডিত্যের নিবাসভূমি পুস্তক। যখন পরহস্তগত ধন ধনই নয়, পুস্তকস্থা বিদ্যা বিদ্যাই নয়, - তখন কি করিয়া বলিব যে, ভাষানুবাদের দ্বারা বিদ্যার উন্নতি হইতেছে ? পুস্তকের সন্তাবে পাণ্ডিত্য— পুস্তকাভাবে মুর্থতা ইহাইত হইল ভাষানুবাদের পরিণাম । জানি না ভাষানুবাদের দ্বারা সার নিচয় তোমফলকে খোদিত হইতেছে কি জলে মিলিত হইতেছে । উপসংহারে ইহাই বলিলে যথেষ্ট হইবে যে, ভাষানুবাদে ফঁাতাদের পাণ্ডিত্য, তাহারা যদি পণ্ডিত বলিয়া পরিগণিত হন, তাহা হইলে দরিদ্রগণের “ভূমিখাত নিধানেণ ধনেন। ধনিনে বয়ঃ” এই উক্তিরই বা দোষ কি ? সংসদীয় পাঠকগণের নিকটে উভয় পক্ষের বক্তব্য সমূহ উপস্থাপিত করিলাম, একবাৱ চিন্তরূপ তুলাদণ্ডে ফেলিয়া দেখুন, কোন পক্ষ গুরু ও কোন পক্ষ লঘু জয় । যদি আমাদিগকে মীমাংসা করিতে বলেন, তাহা হইলে আমরা এই মাত্ৰ বলিতে পারি যে“স্তুবন্তি গুবৰীমভিধেয় সম্পদং বিশুদ্ধি মুক্তেরপরে বিপশ্চিত: | ইতিস্থিতায়াং প্রতি পুরুষং রুচৌ সুদুর্লভাঃ সৰ্বমনোরমাগিরঃ ৷”