পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানব-জীবনে সুখের স্থান। ( প্ৰথম স্তবক। ) সুখ বলিয়া যে একটা সৰ্ব্ববাদীসম্মত জিনিষ বৰ্ত্তমান আছে, বোধ হয় এ বিষয়ে কাহারও বিপ্ৰতিপত্তি নাই । বে সুখের আশায় প্রাণীমাত্রেই জীবন-সংগ্রামের সেনাপতিত্বে বৃত, যে সুখের আশায়” জীবমাত্ৰেই কেহ বা জ্ঞাতসারে কেহবা অজ্ঞাতে ভবের হাটে বেচাকেনা করিতেছে ; যে সুখলিপস হৃদয়ে উদিত হইলে, ধৰ্ম্মরাজের ভ্ৰকুটি-কুটিল ভয়ঙ্কর তীৰ্য্যকদর্শনও চিত্তকে বিহবল করিতে সমর্থ হয় না, জলধির ভীষণ গৰ্জন, জলরাশির সাংঘাতিক আলোড়ন, উন্দ্রীমালার ভয়ঙ্কর উদ্বাৰ্ত্তন যে সুখলিপসার অণুমাত্র অন্যথা করিতে পারেনা, গভীর অরণ্যে শ্বাপদকূলের মারাত্মক বিকট নিনাদ ও যে সুখলিপিসায় অকিঞ্চিৎকর বোধ হয়, এক কথায় যে সুখের আশায় প্ৰাণী প্ৰাণ পৰ্য্যন্ত উৎসর্গ করিতে কুষ্ঠিত হয় না, সে সুখের কোনটা প্ৰকৃত সুখ ? কোন অবস্থায় আমরা সে সুখের প্রকৃত অধিকারী ? কোন অবস্থায় আমরা প্ৰকৃত সুখী ? তাহার আলোচনা বোধ হয়। অসঙ্গত হইবে না । ঐ দেখুন-জটাজুটধারী জীৰ্ণশীর্ণকায় বন্ধলবাসা একজন মানব, শ্বাপদসংকুল গভীর অরণ্যে অনাহারে সমাধিস্থ। অন্যদিকে দেখুন-একজন পুত্র-কলাত্র-ভাই-বন্ধু-স্বজন-পরিজন সব ভুলিয়া, জলধির অসংখ্য লহরীর সহিত স্বীয় সুখাশার অসীম লহরী W