পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ペ ] নাচাইতে নাচাইতে সুদূর সমুদ্র পারে। চলিয়াছেন। আবার ফিরিয়া দেখুন-অন্যদিকে দেখিবেন। একজন জ্বলন্ত অনলের দিগন্তদাকী শিখায় নবনীত কোমল অঙ্গযষ্টিখানি চিরদিনের জন্য ভস্মীভূত করিয়া ফেলিতেছে । এরূপ কয়টা বলিৰ ? এতাদৃশ ভুরি ভুরি বিসদৃশ দৃশ্য যাহা কিছু নেত্ৰগ্ৰে প্ৰতিনিয়ন্ত নৃত্যু করিতেছে, ইহার মূল ভিত্তি প্ৰবল প্ররোচক একমাত্র সেই সুখের আশা - সুখের প্রত্যাশা ৷ এইত গেল সা-সারীর ব্যাপার ; অন্যদিকে দার্শনিকগণের সহিত আলাপ করিয়া দেখুন, যুক্তির ফোয়ারা খুলিয়া দিয়া নৈয়ায়িক বলিবেন, অত্যন্তিক দুঃখ নিবৃত্তিই পরম সুখ বা মুক্তি। কপিল বলিবেন, পুরুষের সহিত প্ৰাকৃতিক দুঃখাদির কাল্পনিক সম্বন্ধ বাহিত্যই মোক্ষ বা পরম সুখ । স্থূলতঃ অধিকাংশ দার্শনিক, কেহ বা স্পষ্ট ভাষায় কেহবা প্ৰকারান্তরে দুঃখাভাব বা পরমানন্দ লাভেরই সারবত্তা প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন। অবশ্য বৈদান্তিকৰ্ম্মণ, প্রাপ্য বা প্ৰাপ্ত বলিয়া কিছুই রাখেন নাই । তঁহাদের মতে দুঃখ ও যে কাপ উপেক্ষার বিষয়, সুখ ও সেইরূপ উপেক্ষিণীয় । তাছা হইলে ও তাহারা মানবকে যে অবস্থায় অগ্রসর হইতে উপদেশ দেন, যেরূপভাবে আত্ম-পরিচয় করাইয়া দেন, শর্করপি গুকে সরবীতে অথবা লবণপিণ্ডকে সমুদ্রের জলে মিশিবার ন্যায় আমাদিগকে যেখানে মিশিয়া চিরদিনের জন্য কাল্পনিক আত্মসত্তা ত্যাগ করিতে উপদেশ দেন, সে যে আনন্দ - সমুদ্র- পরমানন্দ-সন্দোত । সেখানে জরা নাই, ব্যাধি নাই,