পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ь, а ] ঋতুকালে স্ত্রী ও পুরুষের সম্পর্ক বশতঃ শুক্ৰ শোণিত একত্ৰ সম্মিলিত হইয়া এক রাত্ৰিতেই ঈষৎ গাঢ় রূপে পরিণত হয়। তৎপরে সপ্ত রাত্রি অতীত হইলে উহা বৰ্ত্তালাকার হয়। অৰ্দ্ধ মাসের মধ্যে পিণ্ডাকার, মাস সম্পৰ্ণ হইলে ঐ পিণ্ড কঠিন হয়, এবং দুই মাসে শির, তিন মাসে পাদপ্রদেশ, চতুর্থ মাসে গুলফ উদর ও কটিদেশ, পঞ্চম মাসে পৃষ্ঠ, ষষ্ঠ মাসে মুখ, নাসিক ও চক্ষু এবং সপ্তম মাসে জীবনের সহিত অর্থাৎ জীবোৎপত্তির পরিচায়ক চলনাদি জন্মে এবং অষ্টম মাসে গৰ্ভ সৰ্বলক্ষণ সম্পূর্ণ হয়। স্ত্রী-পুরুষ-সংযোগ সময়ে যদি পুরুষের শুক্রাধিক্য ॐ তবে পুরুষ, আর স্ত্রীর ঋতুর আধিক্য হইলে স্ত্রী এবং স্ত্রী পুরুষের বীজের সমতা হইলে নপুংসক, ব্যাকুলিত চিত্তবিশিষ্ট অন্ধ, খঞ্জ, কাজ ও বামনের উৎপত্তি হয়। স্ত্রী-পুরুষের শুক্র - শোণিত বায়ু দ্বারা পরিপীড়িত হইয়া দ্বিধাভাগে পরিচালিত হইলে, যুগ্ম সন্তান (যমজ) উৎপন্ন হইয়া' থাকে। পঞ্চভূতাত্মিক এই পিণ্ড চিন্তনাদি কাৰ্য্যে সমর্থ। শব্দ, রূপ, রস, গন্ধ ও স্পর্শ এই পাঁচটাই বুদ্ধির বিষয়। এই বুদ্ধি অন্তঃকরণ দ্বারা রসাদির জ্ঞান করিয়া থাকে এবং অনিতা বস্তু ও নিত্য ওঁকার পদার্থের চিন্তা করে। এই দেহে প্ৰকৃতি মহাতত্ত্ব (বুদ্ধি) অহংকার ও পঞ্চতন্মাত্র এই অষ্ট প্ৰকৃতি এবং পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্ৰিয়, পঞ্চ কম্মেন্দ্ৰিয়, পঞ্চ স্থূলভূত এবং মন এই ষোড়শ বিকৃত পদার্থ বিদ্যমান আছে । নারীর গর্ভস্থ শিশুর নাভি হইতে মাতার হৃদয় পৰ্য্যন্ত