পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

by সম্বন্ধ আছে, তদ্দার। মাতার ভুক্ত ও পীত দ্রব্যের রস গ্ৰহণ করিয়া গৰ্ভস্থ সন্তানের প্রাণ আপ্যায়িত হয়। অনন্তর নবম মাসে গর্ভস্থ সন্তান সর্বলক্ষণ ও সর্ব জ্ঞানসম্পন্ন হইয়৷ পূৰ্বজন্ম স্মরণ করে এবং তাহার শুভাশুভ কৰ্ম্মের জ্ঞান জন্মে । নবম মাসে শিশু এই প্রকার চিন্তা করিতে থাকে যে, আমি পূর্বে সহস্ৰ সহস্ৰ যোনি ভ্ৰমণ করিয়াছি, তৎপরে যোনির দ্বার হইতে নিৰ্গত হইয়া বিবিধ ভোগ্যবস্তু আহার ও নানা প্রকার স্তন পান করিয়াছি ; একবার জন্ম আবার মৃত্যু, আবার জন্ম আবার মৃত্যু, এই প্রকারে পুনঃ পুনঃ জন্ম ও মৃত্যু ভোগ করিয়াছি । আমি পরিজন পোষণের নিমিত্ত কত শুভাশুভ কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিয়াছি, কিন্তু যাহাঁদের নিমিত্ত করিয়াছি, তাহারা তন্দ্বারা পীড়িত হইতেছে না । এক আমিই সেই শুভাশুভ কৰ্ম্মের দ্বারা দগ্ধ হইতেছি । কি পরিতাপের বিষয় । আমি এখন এই দুঃখসাগরে নিমগ্ন হইয়া পড়িয়াছি, ইহা হইতে উদ্ধারের কোনই উপায় দেখিতেছি না । যদি একবার এই যোনিদ্বার হইতে মুক্ত হইতে পারি, তবে অশুভক্ষয়কারী মুক্তিফলদায়ী মহেশ্বরকে প্ৰপন্ন হইব। আবার ভাবিতেছি, যদি এই যোনি হইতে মুক্ত হইতে পারি, তবে অশুভ বিনাশী মোক্ষফলপ্ৰদ নারায়ণকে সেবা করিব । যদি এবার যোনি হইতে নিষ্ক্রান্ত হইতে পারি, তবে অশুভ-বিনাশক যোগ অভ্যাস করিব। এবার যদি যোনি হইতে বিমুক্ত হইতে পারি, তবে সনাতন ব্ৰহ্মপদার্থের ধান করিব ।