পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! ని ) বিচার করা উচিত। ভূমিষ্ঠ শিশুর উত্তানশায়ী অবস্থা হইতে পাঠারাস্ত পৰ্য্যন্ত পারস্পরিক অবস্থার সমালোচনা করিলে দেখা যায়, উস্তানশায়ী অবস্থায় শিশু কেবল গর্ভবাসক্লেশ হৃষ্টতে নিস্কৃতি পাইয়াছে, এই পৰ্য্যন্তই বলিতে পারা যায়। অন্যের তাতে জীবনের ভাব সমাপণ, অন্যের অনুমানে জীবনের অস্তিত্ব, এক শ্বাস-প্ৰশ্বাস ব্যতীত জীবনের তাবৎ ব্যাপারই অন্যের প্রস্তে মৃত্যুস্ত করিয়া বঁচিয়! থাক। যদি 'সুখের কারণ হয়, লৌহকারের ভস্তু অচেতন হইয়া ও পরম সুখী বলিতে হইবে। বলিতে পারেন ঈশ্বরের নিয়মই হইতেছে, শিশুর ভার পিতামাতা বা তৎকল্প সহসদয় ব্যক্তিবৃন্দের নিকট ন্যস্ত হইবেই । পিতামাতা তোহার বক্ষণবিধানে বাধ্য। তাহা হইলে ও ব্যবহার দৃষ্টিতে দেখুন যে অবস্থায় প্রাণী নিজের হিতাহিত না বুঝিয়া কাম্য করিয়! এলং বস্তুর গুণাগুণ না বুঝিয়া তাহার সংস্রবে। প্রাণান্ত কাস্ট উপভোগ করিতে বাপ্য সে অবস্থা সুখের কি ? বালক অগ্নির দাতিক শক্তি, জলের গভীরতা, সপের সাঞ্জাতিক দংশন ইত্যাদি প্রাণান্তকারী ঘটনা বুঝেন, কিন্তু অনলে দগ্ধ হইলে, জলে মগ্ন হইলে বা সপদষ্ট হইলে, যন্ত্রণায় । জৰ্জরিত হইয়া প্ৰাণী পৰ্য্যন্ত পরিত্যাগ করিয়া থাকে । সে অবস্থায় মানব-জীবন সুখময় ইহা বলা যাইতে পারে কি ? সুখের তারতম্য থাকে থাকুক, তা বলিয়া প্ৰকৃত সর্বসুখে সুখী বলা সঙ্গত হয় কি ? আরও দেখুন গর্ভাবস্থায় শিশু অবশ্য মলমূত্ৰভাণ্ডের কিছু ?