পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস টাকাতে ত আর সোনার দোয়াত-কলম হয় না। ওঁকে বারবার প্ৰণাম কর, তা’ হ’লে চাই কি দু-চার বছরের মধ্যেই তোমার সোনার দোয়াত-কলম হবে। ওঁর আশীৰ্বাদ বড় ফলে রমেশ । এই দেখ না, ওই সোনার দোয়াত-কলম হোক বলে নরেশ আর পরেশকে সর্বদা আশীৰ্বাদ করতেন। কি না । সেই আশীৰ্ব্বাদের ফলে নরেশ এম-এস-সি পরীক্ষায় সর্বপ্রথম হয়ে সরকারী হিসাব-বিভাগে এমন বড় চাকুরী পেয়েছে ; তার সোনার দোয়াত হয় নি, কিন্তু সোনার কলম হয়েছে । মেজ ছেলে পরেশ যে এবার বি-এ অনারে ইংলিশে ফাষ্ট হয়েছে, তাও ওঁর ওই সোনার দোয়াত-কলম হোক, এই আশীৰ্বাদের ফল গৃহিণী হেসে বললেন, সুধু সে আশীৰ্ব্বাদ ফলাল না। আমার দীনেশের বেলায়, কোন রকমে আই-এস-সি পার হয়েছে। রমেশ বলল, দেখবেন বাবু, মায়ের আশীৰ্বাদ ফলবেই, ছোট দা বি-এস-সিতে সবার উপরে যদি না হন, তা হলে আমি মা, আপনার ছোট ছেলেই নই। যাকগে সে কথা । এই দেখুন না, এই ছয়দিনের মাহিনের টাকা পেয়েছি। এই বলে রমেশ কয়েকটা টাকা আর গোটাকয়েক এক-আনি আমার গৃহিণীর পায়ের কাছে রেখে দিল । তিনি সবগুলি কুড়িয়ে নিয়ে রমেশের মাথায় ঠেকিয়ে, তারপর নিজের মাথায় ঠেকিয়ে রাখলেন। আমার বড় ছেলে নরেশ আমার পাশেই একখানি ইজি চেয়ারে বসে ছিল। সে বলল, মা, রমেশ কত পেলে ? গৃহিণী বললেন, কত পেলে, সে হিসেব তুমি এতবড় হিসেবনবীশ হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করুছা! SR ,