পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস গৃহিণী বললেন, দেখেছ, সে কথা ভুলেই গিয়েছি। ও যে ছ’টার পরেই এসে যা হয় খায়, আজ সাতটা বেজে গেল, তবুও ওকে না দেখার ভাবনায় ও-কথাটা মনেই আসে নি । রমেশ বলল, মা, আমি ইচ্ছে করে দেৱী করি নি। ছুটি হবার একটু আগেই ম্যানেজারবাবু বলে পাঠালেন, তার সঙ্গে দেখা না ক’রে যেন আমি চলে না আসি ! অন্য কম্পোজিটারের মুখে শুনলুম, আজ তার হ্যািপ্ত পাবে ; তাদেরও বাসায় যেতে দেৱী হবে। তারা না হয়। হণ্ডা পাবে, আমি ত পাব না, এখনও চাকুরীই হয় নি। তা” কি কবুব ম্যানেজারবাবুর হুকুম, থাকতে হলো। ছ’টার পর সকলের হ্যািপ্ত দেওয়া শেষ হয়ে গেলে ম্যানেজার-বাবু আমাকে ডেকে বললেন যে, তিনি আমাকে চব্বিশ টাকা ক’রে মাইনে দেবেন। তার পরই এই হাপ্তার মাইনে আমাকে দিলেন। তাকে প্ৰণাম ক’রে আমি ছুটে এসেছি ; পথে একটুও দেৱী করি নি। মা । প্রেসেই যে দেরী হয়ে গেল, তার আর কি করুব, কেমন মা ? গৃহিণী বললেন, সে ত ঠিক কথা। এখন হাত-মুখ ধুয়ে এসে কিছু খাও । r নরেশ বলল, “ দেখা মা, এই ছেলেট যাদুবিদ্যা জানে। তোমাদের ত যাদু করেছেই এই সাত-আটদিনের মধ্যে। আমি যে এমন জানোয়ার, আমাকেও রমেশ বশ করে ফেলেছে । এই কয়দিনে দেখছি, বাড়ীশুদ্ধ সবার মুখেই রমেশ ! যাক গে। সে কথা। আমি বলছিলাম কি বাবা, এক কাজ করা যাক। রমেশ যা” মাইনে পাবে, সে টাকা ও মাসে মাসে ওর মাকে পাঠিয়ে দেবে ; এখানকার ওর সব খরচ বাবা, আপনি চালাবেন । আমি কি S8