পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস 35i FPi 어行g কাজ করে সেটা ঠিক করে দেবো । তাতেই তৃ বলছিলাম আমার বাড়ী ফিরুতে রাত সাড়ে ন’টা হবে। مة আমি বললাম, অত রাত্রে একলা আসতে ভয় করবে না তত্ব তা, কেষ্টাকে ন’টার সময় প্ৰেসে পাঠিয়ে দেব ; সে তোমাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসবে। আমার কথা শুনে রমেশ হো হে ক’রে হেসে উঠল। আপনি কি যে বলেন বাবু! রাত ন’টায় এইটুকু পথ আসতেই ভয় কবুবে ? এর চাইতেও বেশী রাতে কত দিন মেদিনীপুর থেকে বাড়ী গিয়েছি। বড় বড় মাঠ, জঙ্গল, এক-পেয়ে পথ, সাপ-বাঘের আডডা । তা’তেও আমার ভয় হয় নি; আর কলকাতার এই পথে আসতে আমার ভয় হবে ? জানেন মা, পাড়া গায়ে আমাদের বাড়ী। আপনারা ত পাড়াগা দেখেন নাই, বুঝতে পারবেন না। আমাদের ভয়-ডর নেই। আমি বললাম, রমেশ, তুমি সবে কলকাতায় এসেছি। এ যে কি ভয়ানক স্থান, তা? তুমি জান না। এখানে প্রতি পদে বিপদের আশঙ্কা। দিনে দুপুরেও এখানে সাবধানে চলতে হয়। রমেশ বলল, তা” ব’লে প্রেসের সামান্য কম্পোজিটারকে ন’টার সময় বাড়ী আনবার জন্য চাকর পাঠাতে হবে, এমন হাসির কথা যে আপনি কেমন ক’রে বললেন, তা” আমি ভেবে পাচ্ছি নে। যাক গে। সে কথা। আমি আর দেৱী কবুতে পারছি নে মা ! এই দেখুন, ঘড়িতে ছ’টা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকী। আমি খুব জোরে হেঁটে গেলে ঠিক ছ’টায় প্রেসে পৌছতে পােবুব। তার কথা শুনে গৃহিণী বললেন, তাই ব’লে জল না খেয়েই যাবে? সে কি কথা। তুমি এক মিনিট অপেক্ষা কর,আমি খাবার নিয়ে SS)