পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস আমাদের বাড়ীর ব্যবস্থা এই যে, ন’টার মধ্যে সকলের আহার শেষ করতে হবে। বামুনটা ন’টা বাজিলেই বাসায় চলে যায়। সেই জন্য আটটার সময়ই আমরা আহার শেষ করি । কোন কারণে ছেলেদের বাড়ী ফিরতে বিলম্ব হ’লে তাদের রাত্রির খাবার গৃহিণীর ঘরে পৌছে দিয়ে বামুন চলে’ যায়। তা’ ব’লে আমরা যে নয়টার সময়ই শুয়ে পড়ি, তা’ নয়। ছেলেরা দশটাএগারটা পৰ্যন্ত পড়াশুনা ক’রে, আমার কাছে বসে গল্পগুজব করে, কখনও বা তর্ক জুড়ে দেয় ; গৃহিণীও এটা-ওটা করে রাত এগারটা বাজান। সুতরাং রমেশের রাত সাড়ে ন’টায় বাড়ী ফিরে আসায় যে আমাদের কারও কষ্ট বা অসুবিধা হবে, তা’ নয় । আমরা সেদিনও সকলে আহারাদি শেষ ক’রে গল্প আরম্ভ করেছিলাম ; গৃহিণী। কিন্তু অভূক্ত রইলেন। নরেশ সেই কথা বলতে, তিনি বললেন, যেদিন তোমরা বিলম্ব ক’রে বাড়ী এস, সেদিনও তোমাদের যেমন খাওয়া শেষ না হ’লে আমি খেতে পারি নে, আজও রমেশ এসে না খেলে আমি কিছুই খাব না । - তার কথা শেষ না হ’তেই রমেশ ঘরের মধ্যে প্ৰবেশ করে বলল, শুনতে পেয়েছি মা, আপনি আমার জন্য অনাহারে বসে।” আছেন। সেই জন্যই ত বলেছিলাম, আমি মেসে যাই । তা” ত আপনারা শুনলেন না। এই দেখুন ত, সবারই খাওয়া হয়ে গিয়েছে, আর আপনি আমার খাবার আগলে বসে’ আছেন। গৃহিণী বললেন, ত’তে কি হয়েছে। রাত বারোটাও বাজে নি, একটাও বাজেনি যে, ঘুমে চোখ বুজে আসছে। চল বাবা, তোমাকে খেতে দিই গে। NG: