পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস রমেশ বলল, মা, আমার যে খাওয়া হয়ে গিয়েছে। কোলকাতার ছাপাখানার ব্যবস্থার কথা কি আমি জানি । আমাদের প্রেসের নিয়ম এই যে, ছ’টার পর তিন ঘণ্টা কাজ করলেই এক LBBDB DDB DBDBDT K LLD DDD S BDB DuS uu DBD ওভার-টাইম কাজ করে, প্রেস থেকে তাদের প্রত্যেককে দু’। আন ক’রে জলপানি দেয়। সেই দু’। আনা পাওনা থেকে কেটে নেয় না। এ কি আমি জানি। তা’ হ’লে ত ব’লেই যেতাম যে, রাত্রে আমাকে খেতে হবে না । গৃহিণী বললেন, জলপানি ত পেয়েছ মোটে দু’। আনা । তা” দিয়ে এমন কি খাওয়া যায় যে, ত’তে পেট ভরে যায়। রমেশ হাসতে হাসতে বলল, যারা নবাবী ক’রে কচুরী জিলেপী ব্লসগোল্লা খায়, তাদের কি আর পেট ভরে। আমি ত তা” খাই নি ; আমার পেটও ভরেছে, আরও চার পয়সা বঁচিয়েছি। এই নিন। মা, সেই চার পয়সা । এই ব’লে রমেশ চারটি পয়সা আমার স্ত্রীর পায়ের কাছে রেখে দিল । আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, কি রকম ! পেয়েছে ত দু’ আনা । তার এক আনা বঁচিয়ে এনেছ ; বাকী এক আনায় এমন কি খেলে, যাতে পেট ভরে গেল । রমেশ বলল, শুনবেন কি খেয়েছি। এই দুই পয়সার মুড়ি, আর দু’। পয়সার বেগুনি-ফুলুরি। মা, আপনি শুনলে বিশ্বাস করবেন। না, দু’। পয়সার বেগুনি ফুলুরি এত দিয়েছিল যে, আমি খেয়ে শেষ করতে পারি নে। এর পর যখন জলপানি পাব, তখন এক পয়সার RV