পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস বেগুনি কিনব, তা’ হ’লেই খুব খাওয়া হবে। আর দেখুন মা, দু’ পয়সার মুড়িও বড় কম নয়। এতেও পেট ভবৃবে না ? গৃহিণী বললেন, দেখ বাবা রমেশ, ও সব তুমি খেও না। বিদেশ যায়গা, অসুখ করলে মহা বিপদ হবে। দোকানের বেগুনি কি খেতে আছে ? ও একেবারে সাক্ষাৎ বিষ যে । ওগুলো সব তেলে-ভাজা । সে তেলই কি ভাল ? না, না, তোমাকে আমি মাথার দিব্যি দিয়ে বলছি, কখনও ও-সব খেয়ে না। তোমাকে জলপানি থেকে একটা পয়সাও বঁাচাতে হবে না, বরঞ্চ যেদিন তোমাকে রাতে ন’টা-দশটা অবধি কাজ করতে হবে, সেদিন ত আর বাড়ী এসে খেয়ে যেতে পারবে না, সেদিন তুমি ছ’টার সময় চার আনার ভাল খাবার কিনে খেও । কাল থেকে প্রেসে যাবার সময় তোমার পকেটে আমি কিছু পয়সা রেখে দেব। কোন দিন যে তোমায় অতিরিক্ত কাজ করতে হবে, তা’ ত আর জানতে পারা যাবে না, তাই সঙ্গে পয়সা রেখে । বল, আমার সুমুখে যে, আর কখনও বেগুনি খাবে না । যে অত্যাচার আজ করেছ, আজ তুমি খেতে চাইলেও আমি কিছু (थaट (द = । তারপর আমার দিকে চেয়ে বললেন, ও গো, তুমি রমেশকে একটা হোমিওপ্যাথি, ওষুধ দাও, ওর যাতে ওই সব অখাদ্য জীর্ণ হয়ে যায় । রমেশ আর হান্ত সংবরণ করতে পারুল না, বলল, আচ্ছা যায়গায় এসে পড়েছি। মা, আপনারা কি আমাকে বাবু না বানিয়ে ছাড়বেন। না । মুড়ি বেগুনি খেলে যে মানুষ মরে যায়, এ কথা আমার আত্মীয়-স্বজন শুনলে আপনাদের পাগল বলবে। ওই যে আমাদের R