পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস আমি হেসে বললাম, তোমার এ প্রস্তাব আমি গ্ৰহণ করতে প্ৰস্তুত আছি। নরেশ । নরেশ বলল, তা’ হ’লে আর দেরী করা হবে না। বেড়াতে যাওয়ার কথাটা এখন একেবারে চাপা থাক । ওরা এলে সুবিধামত কথাটা তোলা যাবে। রমেশ শুতে যাওয়ার পর আমাদের এই সব কথাবাৰ্ত্তা শেষ হ’তে বোধ হয়। দশ-পনের মিনিট লেগেছিল ; তার বেশী নয়। দেখি রমেশ তাড়াতাড়ি এসে উপস্থিত। আমি বললাম, কি হে, এখনও ঘুমুতে যাও নি ? নরেশ বলল, ওর বোধ হয় ক্ষিদে পেয়েছে ; তাই মায়ের কাছে এসেছে। কেমন, আমি ঠিক বলি নি রমেশ ? রমেশ বলল, বড়-দা”, আপনার কথার অৰ্দ্ধেক ঠিক, আর অৰ্দ্ধেক ভুল। আমি মায়ের কাছে এসেছি, এটা ঠিক ; কিন্তু আমার ক্ষিদে পায় নি। একটা বিশেষ দরকার আছে। নরেশ বলল, এই রাত প্ৰায় সাড়ে দশটার সময় মায়ের কাছে এমন কি দরকার, যার জন্য তুমি ঘুম কামাই ক’রে ছুটে এসেছ ? রমেশ বলল, মা না এলে সে কথা হবে না। গৃহিণী দুয়ারের গোড়ায় এসে ছিলেন ; এই কথা শুনে আর বিলম্ব না ক’রে ঘরের মধ্যে এসে বললেন-কি রমেশ, এত রাত্রে মায়ের খোজ পড়ল কেন ; ক্ষিদে পেয়েছি বুঝি ? নরেশ বলল, আমিও সেই কথা বলতেই তোমার ছেলে বললেন, ওটা মিথ্যা কথা। ওর আর একটা কি বিশেষ দরকার আছে । আমরা বাইরে যাব না কি রমেশ ? \OS