পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস গৃহিণী সহান্তমুখে বললেন-ঠিক বলেছ বাবা । আমার এই নরেশটার বিষয়বুদ্ধি একটুও নেই। ও যে কি করে অত বড় চাকরীটি করে, তাই আমি দিনরাত ভাবি । যাক গে। সে কথা। এখন তুমি বল, কোন কাজটা ভাল হয় নি ? কার পক্ষে তা” ভাল হয় নিতোমার, না। আমার । রমেশ বলল, মা, আপনি কখনও কিছু অন্যায় কাজ করতে পারেন, এ কথা আমি কেন, কেউ বিশ্বাস করবে না । অন্যায় আমিই করেছি। সেই কথাই ত বলতে এত রাত্তিরে দৌড়ে এলাম। কথাটা না শুনিয়ে পারছি নে । নরেশ বলল, শুনার জন্যই ত বসে আছি, তুমি যে খুলে কোন कथाझे दव्छ ना । রমেশ বলল, কথাটা কি জানেন মা, প্রেসের ম্যানেজারবাবু যে জলপানি ব’লে প্ৰত্যেককে দু’। আন ক’রে পয়সা দিয়েছিলেন, সে কিসের জন্যে ? গৃহিণী বললেন, তোমাদের জলযোগের জন্তে । রমেশ বলল, এই দেখুন। জলযোগের জন্যে যে দিয়েছিলেন, তা’ ত সকলেই জানে। আমি বললাম, তার এই দু’আনা দেওয়ার মধ্যে ত কোন অন্যায় নেই। তোমরা সেই সকালে ন’টায় কাজ করতে গিয়েছ ; তোমাদের যদি রাত ন’টা পৰ্যন্ত কাজ করতে হয়, তা’ হ’লে তোমরা ক্ষুধায় ক্লান্ত হয়ে পড়বে, তারই জন্য তোমাদের এই জলপানি দিয়েছেন। কেমন ? রমেশ বলল, সেই ত কথা ! এখন আমি যদি সেই পয়সা খরচ ক’রে না খেয়ে পুজি করি, সেটা কি অন্যায় হয় না ? VO)