পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস গিয়ে শুয়ে ঐ কথাটা মনে হোলো । ছিঃ, ছিঃ ! গরীব হ’লেই কি আর অন্যায়-বোধ থাকবে না ? এই চারটে পয়সার লোভ যে সামলাতে পারে না, তার মত অপদাৰ্থ মানুষ কি আর আছে ? এই কথাই আমাকে ব্যথা দিচ্ছিল। তাই ছুটে এলাম মায়ের কাছে। মা, আপনি বলুন-‘রমেশ, তোমার এ কাজটা অন্যায় হয়েছে। এমন কাজ আর কোরো না। কালই প্রেসে গিয়ে ম্যানেজারবাবুকে চারটে পয়সা ফিরিয়ে দিয়ে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কোরো ।” মা, আপনি এই কথা বললে এবং ভবিষ্যতের জন্য সাবধান হ’তে আশীৰ্বাদ করলে আমার মনে আর কোন গ্লানি থাকবে না। কথা ত অনেক শুনেছি ; এই সুদীর্ঘ জীবনে পড়েছিও অনেক ; মিশেছিও অনেক লোকের সঙ্গে। সাধু-ধৰ্ম্মাত্মাও অনেক দেখেছি। কিন্তু এই আঠারো বছরের ছেলে যে সকলকে পরাজয় করল । এমন কথা ত কখন শুনি নি । কে এই রমেশ ? গরীব মহিষ্যের ঘরে, নিরক্ষর কৃষকের ঔরসে এ কে জন্মগ্রহণ করেছে ? কোন সুকৃতির ফলে এই নবীন যুবক আমার কাছে এসে আমাকে ধন্য করুল ! আমি আর ব’সে থাকতে পারলাম না, উঠে গিয়ে রমেশকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধ’রে বললাম-রমেশ, আজ আমার জীবন সার্থক হোলো । v9.