পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস গৃহিণী বললেন, কাকে পাঠাবো ? আমি বললাম, ছেলেরা এলে সে কথা ঠিক করা যাবে। তাদের মধ্যে যে যেতে চাইবে, সেই যু্যাবে। গৃহিণী তখন এক প্ৰস্তাব ক’রে বসলেন। তিনি বললেন, যে যাবে, তাকে বলে’ দিতে হবে, সে যেন ঐদিক দিয়ে একবার রমেশের বাড়ী হয়ে ওর মা-বোনকে দেখে আসে। আর যদি পারে, তা হলে তাদের একবার এখানে নিয়ে আসে। আমি বললাম, এ কথা যদি রমেশ জানতে পারে, তা’ হ’লে সে মেদিনীপুরেই যাবে না। গৃহিণী বললেন, সে কথা তাকে আগে কে জানাতে যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে সব ঠিক ক’রে নিতে হবে, রমেশ আর তখন বাধা দিতে পারবে না । আমি বললাম, তোমার ব্যবস্থা মত কাজ করতে পারবে একমাত্র দীনেশ। রমেশ দীনেশের উপর কথা বলতে পারবে না। -কার উপর কে কথা বলতে পারবে না। মা ? এই বলে’ রমেশ এসে উপস্থিত। গৃহিণী বললেন, উনি বলছিলেন তোমার উপর কেউ কোন কথা বলতে পারবে না। নরেশ বল, পরেশ বল, দীনেশ বল, বৌমারাও বল, এমন কি কৰ্ত্তা পৰ্য্যন্তও তোমার উপর কোন কথা বলতে পারবেন না। এক পারব আমি-কেমন রমেশ ? রমেশ হেসে বললে, না, না, তা’ নয়। আমার উপর সবাই কথা বলতে পারবেন। আমি যে সকলের ছোট মা । গৃহিণী বললেন, যে ছোট, সেই তা সকলের বড়। 89