পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস রমেশ বলল, ওর আর ভাবনা-চিন্তা কি ? এখনই ঠিক कद्धा शांक नl । আমি বললাম, তোমার যদি বিলম্ব করা না। সয়, তা’ হ’লে তুমিই বল না, কি করতে হবে। রমেশ বলল, আমার মত কি শুনবেন ? আমি বলি, কৰ্ত্তার গিয়ে কাজ নেই। ওঁর শরীর ভাল নয়। সেখানে গেলে নানা অনিয়ম হবেই ; তাতে ওঁর শরীর আরও কাতর হয়ে পড়বে। উনি থাকলেই মাকে থাকতে হবে। শনিবার তা ছুটী আছে। বড়-দা’, মেজ-দা’ ছোট-দা’ তিনজনই চলুন। মেদিনীপুরে ত কেউই যান নি, একটা নূতন স্থান দেখা হবে। আর বড় বৌদি? মেজ বৌদি” যদি যান, তা হ’লে কি যে আনন্দ হয়, তা’ আর বলতে পারি নে। আমাদের দেশ যে কেমন সুন্দর, তা’ একবার দেখেই आश्न नां । গৃহিণী বললেন, আমার তাতে কোন আপত্তি নেই, যদি তুমি সকলকে তোমাদের গ্রামে নিয়ে যাও। রমেশ হো হাে হে ক’রে হেসে বলল, এইবার মা পাগলের মত কথা বলছেন, ওঁরা যাবেন আমাদের গ্রামে । এ যেন দিল্লী, লাহোর । আমাদের গায়ে ভদ্রলোকের বাস নেই। আমরা সবাই চাষা। সারা গ্রাম খুজিলে একখানা ইট কেউ বা’র করতে পারে না। আমরা, যাকে বলে কুঁড়ে-ঘর, তাতেই বাস করি। তাই কি বাড়ীতে বেশী ঘর আছে। আর সে সব ঘর দেখলে আপনারা ভয়েই সারা হয়ে যাবেন-দু’ঘণ্টা বসা ত দূরের কথা। আমরা গরীব চাষা মানুষ ; আমরা যে কি ভাবে বাস করি, কি 8