পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনাট শুক্রবারে রমেশ যখন নয়টার আগে প্রেসে বেরিয়ে যাচ্ছিল, তখন আমি বললাম, মনে আছে ত, পাঁচটায় ট্ৰেণ । তুমি ঠিক চারটায় বাড়ী আসবে। বাবা তোমার ম্যানেজারকে তোমার ছুটী দেবার জন্য ব’লে রেখেচোন ; সেজন্য তোমাকে ভাবতে হবে না । তুমি দেৱী কোরো না । রমেশ হাসতে হাসতে চ’লে গেল । আমি তখন মায়ের কাছে গেলাম। তিনি একটা নূতন ষ্টীল ট্রাঙ্ক খুলে তার মধ্যে যে সব জিনিষ ছিল, সব মেজেয় সাজালেন । তারপর আমাকে সেগুলি দেখিয়ে দেখিয়ে বাক্সে তুলতে লাগলেন ; বললেন, দেখ দীনেশ, এ নূতন ট্রাঙ্কে যা’ কিছু দিচ্ছি, এ সব রমেশের বাড়ীর জন্য। এর কিছু-কিঞ্চিৎ তোমাদেরও দরকারে লাগবে। এই দেখ-রমেশের মা, আর তার দিদির জন্য চারখানা ক’রে আটখানা কাপড়, তারপর এই দু’খানা গামছা, এই দু’খানা বিছানার চাদর, এই দু’টাে মশারি। এ তোমাদেরও কাজে লাগবে। যদি সেখানেই রাতটা থাকতে হয়, তা হ’লে মশারির দরকার হবে। তারপর দেখ, এই সব ঠোঙ্গাতে রান্নার মসলা, পানের মসলা সব রইল, বুঝলে। তারপর, সে তা পাড়াগ, তোমার চা চাই। সেই জন্য চা দিলাম, চিনি দিলাম, কনডেন্স মিল্ক দিলাম, দু’ সেট চায়ের পেয়ালা দিলাম, ܠ8