পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস আমি বললাম-তোর শালা হবার জন্য এসেছি। তোর শ্বশুর। হরেন্দ্ৰবাবু যে আমার কাকাবাবু! সবাই এ কথা শুনে হেসে উঠল! তারপর যা’ করলাম মা, তা’ তুমি বিশ্বাস করবে না। সেই রাত ন’টা থেকে একটা পৰ্য্যন্ত অবিশ্রান্ত পরিবেশন করে সেই পাচিছয়-শ” লোককে খাইয়ে দিলাম-একটুও বিশ্রাম করি নি। আমার এই পরিশ্রম দেখে সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিল । আর তোমার ছেলে রমেশ কি করেছিলেন, জান মা ! ঘণ্টাখানেক তাকে এদিকওদিক ঘুরতে দেখলাম, তারপর আর তার পাত্তা নেই। রাত একটার পর এক গ্লাস দই চুমুক দিয়ে আমাদের নির্দিষ্ট ঘরে গিয়ে দেখি শ্ৰীমান রমেশচন্দ্ৰ মহাসুখে নিদ্রা দিচ্ছেন। আমি তাকে না। ডেকে তার পাশেই শুয়ে পড়লাম । ঘণ্টাখানেকও যায় নাই, হরিশ গাড়োয়ান এসে ডাকল-বাবু উঠুন, রাত দুটাে বেজে গিয়েছে। অমনি লাফিয়ে উঠলাম। তারপর আমলাবেড়ে যাবার কাহিনী আজ আর নয়। মা, আর এক সময় বলব। এই বলেই আনি ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম।