পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস রান্নাঘরই বল বা গোলাঘরই বল, তারই গায়ে একখানি চালা আছে ; তারই নীচে টোকি । এই যা” বললাম রমেশদের বাড়ীর কথা, তার থেকে তুমি যে একটা আইডিয়াও করতে পারলে না। মা, তা’ তোমার মুখ দেখেই বুঝতে পারছি। তুমি হয় তা ভাবিছ, এ কেমন বাড়ী। মেটে ঘর, মাটীর দাওয়া, চারদিকে জঙ্গল, বাড়ীর আবরণ নেই, বাইরে বসবার ঘর নেই, চার পাশ খোলা-এ কি বাড়ী ! তা” কিন্তু নয় মা, রমেশদের সেই পত্ৰকুটীর, সেই অনাড়ম্বর সৌন্দৰ্য্য, সেই ক্ষেতের ধানের মোটা লাল চালের ভাত, সেই ডোবা থেকে তখন-তখনই ধরা ছোট-ছোট পুটিমাছ ভাজা, তারই চচ্চড়ি, ঘরের গাইয়ের অমৃত সমান দুধ-এ সব যে কি মনোহর, কি তৃপ্তিকর মা, তা’ তোমাকে কেমন করে” বোঝাব। আর রমেশের মা, দিদির সেই যে আকিঞ্চন, সেই স্নেহভর আগ্ৰহ, সেই যে প্ৰাণপণ যত্ন, একেবারে অনির্বচনীয় মা, অনিৰ্বাচনীয়-বৰ্ণনার অতীত ! আমার ইচ্ছা করছিল, এখনও ইচ্ছা করছে, সেই পাখী-ডাক, ছায়ায়-ঢাকা, পল্লীর বিলাস শুন্য নির্জন নেপথ্যে জীবন কাটিয়ে দিই। সত্যই মা, আমি বুঝতে পারি নে, রমেশ ষ্টুপিডটা অমন স্বৰ্গভোগ ছেড়ে আমাদের ক'লকাতার এই নরকে থাকতে এল কেন ? কিসের অভাব ওর ? 'ঘরভরা ধান, ডোবায় মাছ, গোয়ালে দুগ্ধবতী গাই, উঠানের পাশে লাউ-কুমড়া, শাক-তরকারীর ক্ষেত, সজনে গাছ, আম-কঁঠালের বাগান, বড় বড় নারকেল গাছ, তা’ হোক না সংখ্যায় কম-এ কি কম সম্পদ রমেশের 1 তারপর অমন স্নেহময়ী দিদি, অমন দেবীস্বরূপিণী মা যার ঘরে, তার অভাব কিসের বল ত মা ? আমি কবিত্ব করছি নে CI