পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস লোকের সঙ্গে কি ভাবে কথাবাৰ্ত্তা বলতে হয়, তা জানতেন। আর, আপনারা তা হরেন্দ্ৰবাবুকে ভালমতই জানেন। তঁর কাছে ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্রের ভেদ নাই। অমন লোক বড়-একটা দেখতে পাওয়া যায় না। তাই দুই-তিনদিনের আলাপেই তিনি বাবাকে চিনতে পেরেছিলেন। আমার বাবা বলে বলছি নে, সত্যি-সত্যি আমার বাবার চরিত্র-গুণে তিনি আমাদের অঞ্চলের সকলেরই বিশেষ শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। লেপাপড়া না শিখেও যে লোকে মহৎ হ’তে পারে, ধাত্মিক হ’তে পারে, জ্ঞানবান হ’তে পারে, আমার বাবা, আমার পূজনীয় পিতৃদেব তার দৃষ্টান্তস্থল। আমার কথায় বাধা দিয়ে বড়-দাদা বলে উঠলেন, আর তার প্ৰত্যক্ষ প্ৰমাণ তুমি শ্ৰীমান রমেশচন্দ্র। এমন বাপ না হ’লে কি তার 四可可C瓦可百〔可1 আমি বললাম, বড়-দা”, আপনি যদি এমন করে” বাধা দেন, তা’ হ’লে কিন্তু আমিও বেশী কথা বলব। মা বললেন, না, না, কেউ আর কিছু বলবে না। তবে নরেশ যা” বলেছে, ও কথা আমাদের সকলেরই মনে হয়েছিল । নরেশ সত্যি কথাই বলেছে, এমন বাপ না হ’লে কি এমন ছেলে হয়। যাক সে কথা, তুমি তোমার জীবন-কথা বল। শুনতে বড়ই ভাল লাগছে। আর দেখছি না, দীনেশটা যে এমন ছটুফটে, সেও একমনে তোমার কথা শুনছে। এখন তুমি তোমার কথা বল রমেশ ! আমি আবার বলতে আরম্ভ করলাম। হরেন্দ্রবাবু রতনপুরের অনেকের কাছেই আমার প্রশংসা শুনেছিলেন । তিনি যে বাড়ীতে গিয়েছিলেন, সে বাড়ীর কৰ্ত্ত হরিশবাৰু তাকে আমাদের সুমুখেই ክዖ8