পাতা:উৎস - জলধর সেন.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস বছর কাটিয়েছি। তা’ নয়। কিন্তু। আমাকে যে একেবারে সকলের নীচের ক্লাসে ভৰ্ত্তি করেছিল। তাই সাত বছর লেগেছিল। নাঃ, আর কথা বাড়াবো না । ছাত্রবৃত্তি পরীক্ষা হ’য়ে গেল। মাষ্টার মহাশয়েরা বললেন, এক মাসের মধ্যেই পরীক্ষার ফল বা’র হবে। আমি মনে করলাম, পরীক্ষার কি ফল হয় তাই জেনে তবে বাড়ী যাব ; যদি পাশ করি, তবেই বাড়ী গিয়ে বাবা, মা, দিদিকে প্ৰণাম করব । আর যদি ফেল করি, তা’ হ’লে কেমন করে” বাড়ী গিয়ে মুখ দেখােব। এই ভেবে মেদিনীপুরেই থাকলাম। কিন্তু, মানুষে ভাবে এক, বিধাতা করেন। আর এক । আমি ঠিক করেছিলাম, পরীক্ষার ফল জেনে বাড়ী যাব, আর বিধাতা খবর এনে দিলেন, বাবার খুব অসুখ, সংবাদ পাওয়া মাত্র আমাকে বাড়ী যেতে হবে । সেই দিনই আমি উৰ্দ্ধশ্বাসে, কত অমঙ্গলের কথা ভাবতে ভাবতে বাড়ী রওনা হ’লাম । বড়-বৌদি, ঐ শুনুন, বারোটা বাজছে। আজ এইখানেই শেষ। ছোড়-দা” বলে’ উঠলেন, ওরে মুখ, ঐ রকম করে” বুঝি বলতে হয় ; বল-এইখানেই বেদব্যাসের বিশ্রাম। সবাই হো হো করে” হেসে উঠলেন । বড়দা’ বললেন, কাল রবিবার। কাল দুপুরে কেউ ঘুমুতে পারবে না। খাওয়া-দাওয়ার পরই বেদব্যাসের কথা আরম্ভ হবে। ছোড়দা’ বললেন, তথাস্তু ! বড়-বৌদি, এক পেয়ালা চা এখন না হ’লে ‘রমেশচন্দ্রের কথা অমৃত সমান’ হজম হবে না। বড়-বৌদি” বললেন, সে আমি জানি। চল আমার ঘরে। সে রাত্রির মত আমাদের সভা ভঙ্গ হ’ল । r