পাতা:ঊনপঞ্চাশী - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y S a ऎछन्नं বিচার করে” আর কি হবে ? তা ছাড়া বিয়ের বয়স আর আমার নেই। আর যদিও থাকতো, তাহলে তোমরা নারী-স্বাতন্ত্রা লিখে লিখে ব্ৰাহ্মণীকে এমনি বিগড়ে দিয়েছ যে কুলীন ব্ৰাহ্মণের সংজ্ঞান হওয়া সত্বেও আমার আর বিয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ করবার ag IV a. *** পণ্ডিতজীকে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলবার অবসর দিয়ে আৰ্যার জিজ্ঞেস কাবুলুম-“বিয়োটা হোলো ধৰ্ম্ম সংস্কার। ছেলেগুলো জাতী-বোজাতের মেয়ে ঘরে এনে ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম নাশ করে” দেবে, আর তোমার মত পণ্ডিত লোক যে গুয়ে গুয়ে তা দেখবে-এটা কি তাল ?” পণ্ডিতজী হেসে উঠে বললেন-“আরে, পণ্ডিতও বটে, ব্ৰাহ্মণ ও বটে। কিন্তু ব্ৰাহ্মণপণ্ডিত ত আর নই! ধৰ্ম্ম বেচে ত আর আমার খেতে হয়। বিয়োটা যে ধৰ্ম্মসংস্কার তা বিলক্ষণই জানি-যেহেতু আমার পূর্বপুরুষদের এই রকম ধৰ্ম্মসংস্কার করাই ছিল জাত-ব্যবসা । আমার প্রপিতামহ ছত্রিশ বছর বয়সে স্বৰ্গলাভ করেন । এই বয়সের মধ্যে তিনি তেষট্টিবার ধৰ্ম্মসংস্কার করে।” তেষট্টিটি ধৰ্ম্মপত্নী সংগ্ৰহ করেছিলেন । এ-হেন আৰ্য্যকুলপ্ৰদীপদের বংশতিলক আমি-আমি আর হিন্দু বিবাহের মাহাত্ম্য বুঝি নে ? আসল কথাটা কি জান, বিয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে যে যখন মরে” গিয়ে ভূত হবে, তখন ঐ ধৰ্ম্মপত্নীর গর্ভজাত পুত্র আমার আতপচালের পিণ্ডি চটকে খাওয়াবে। সেকালের কৰ্ত্তারা যার-তার হাতের রাধা ভাত ত’। আয় খেতেন না, তাই তারা বেছে বেছে স্ববর্ণে