পাতা:ঊনপঞ্চাশী - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t ऐछन्नौ পণ্ডিত বললেন-“আরে, ঐ ত তোরা গোল করিস। আমি খুঁত ধরি, তোদের কে বললে ? আমি শুধু সব জিনিসের স্বরূপ কথন করে” যাচি । মানুষ নিজেকে কত ব্লকম করে” ভোগ করছে তাই দেখাচ্ছি মাত্র। ঐ যাকে বলিস ত্যাগ, সেটাও ভোগের রকমারি । আচ্ছা, সেদিন যখন প্ৰথম খন্দরের শার্ট আর ধুতি পরে’ দেখা করতে এল, তখন তার চোখ দুটাে আহিলাদে টপ করে? কি রকম নাচ ছিল দেখিছিস? আমি দিব্যি করে” বলতে পারি যে, সে এখানে আসবার আগে আলুসির সামনে অন্ততঃ দশ মিনিট দাড়িয়ে চুলগুলো একটু উসকো খুসকো ক’রে দিয়ে দেখেছিল যে মোটা কাপড় আর চিলে শাটো তাকে বেশ মানায় । নিজের রূপ দেখে সে নিজেই মুগ্ধ হ’য়ে গিয়েছিল! একটা জিনিস লক্ষ্য করিছিস কি না জানিনে, যে সে প্রায়ই বলে যে কোনও মেয়ের ফাঁদে পড়বার ছেলে সে নয়! কথাটা আমার মনে হয় ভারী সত্যি। নিজেকেই সে এত ভালবেসে ফেলেছে যে আমার কোনও ভালবাসার জায়গা তার মনের ভিতর নেই।” সমালোচনাটা আমার কি রকম কি রকম ঠেকৃছিল। আমি বললুম-“পণ্ডিতজী, তুমি বড় Cynic ৷” পণ্ডিতজী ফেলে বললেন-“সত্যি কথাকে। যদি কাপড়-চােপড় পরিয়ে তারপর ভদ্র-সমাজে বার হবায় হনুমতি দিস, তাহলে অবিশিষ্ঠ আমি নাচার। কিন্তু আমার মনে হয় যে, ন্যাংটা সত্যি কথার মধ্যে একটা রস আছে, যা”। সব রসের চেয়ে মধুর। আর এতে দোেষই বা কি ? নিজের মাধুরী মানুষ নিজে ভোগ করছে