পাতা:ঊনপঞ্চাশী - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোপালদার বুজরুকি প্ৰায় মাস দুই হোলো গোপাল দা’র আর কোন খপর-টপর পাওয়া যায়নি । তঁর গুরুজনী যখন এসেছিলেন তখন দিন-কতক ছেলেদের মুখে অনেক রকম গুজব শোনা গিয়েছিল। গুরুজী নাকি দিনে রাতে কিছুই একেবারে খান না। রাত দুপুরে আসন করে” বসে মাটী ছেড়ে সাড়ে তিন হাত উপরে উঠে পড়েন । মা কালী নাকি অমাবস্তার রাতে তার কঁাধে ভর করলে তিনি খল খল। করে” হাসেন, আর কিড় মিড়া করে’ শািন্ত বিচ্ছেদ করেন। আর নাকি তিনি বলেছেন যে যাবার সময় তিনি গোপাল দা’কে সব সিদ্ধিই দিয়ে যাবেন । কথাগুলো শুনেই বুঝেছিলুম যে গোপাল দা” এইবায় একটা কেষ্ট-বিষ্ণু হ’য়ে দাড়াৰে । সেদিন সকালবেলা আর কিছু কাজ ছিল না বলে’ পণ্ডিতজীকে বল্পম-“চল না, একবার গোপাল দা’র খপরটা নিয়ে আসি।” পণ্ডিতজী চাদরখানা , কঁাৰে ফেলে দাড়িয়ে উঠে বললেন “চল, অনেক কীৰ্ত্তিই এ বয়সে দেখা গেল ; গোপালের কীৰ্ত্তিটাও দেখা যাক । গোপাল যে রকম উৎসাহী পুরুষ, তাতে নিশ্চযই ইতিমধ্যে একটা ছোটখাট মহাপুরুষ হয়ে দাড়িয়েছে, টিকে থাকতে পারলে কালে একটা অবতার হ’য়ে ওঠাও বিচিত্র নয় । দেখা যাক, যদি