পাতা:ঋণ পরিশোধ.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २२ } এক ঋণী কখনই অন্য ঋণীর ঋণ পরিশোধ করিতে পারে না, ইহা নিশ্চয় । কোন মনুষ্য আপন ভ্রাতাকে উদ্ধার করিতে পারে না , যেহেতু সকলেই এই ভযানক ঋণজ্যলে আবদ্ধ হইযা পডিযাছে। খ্ৰীষ্ট * ধৰ্ম্মে শিক্ষা পাওযা যায যে, ঈশ্বর জগতেব প্রতি এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার অদ্বিতীয় পুত্রকেও আমা- • দের ত্রাণের জন্য দান কবিতে দৃঢসঙ্কল্প হইলেন । অনন্তব তাহার সেই পুত্র প্রভু যীশু খ্ৰীষ্ট নামে এই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হইযাছিলেন । তিনি পিতার আদেশানুসাবে অকথ্য যন্ত্রণাভোগ ও ক্রুশীয মৃতু্যদ্বাব পাপের দণ্ড স্বযং সহ করিয়া আমাদেব ঋণেব শেষ কপর্দক পৰ্য্যন্ত পরিশোধ করিযাছেন । এখন, যাহারা যীশুকে আপনাদেব ত্রাণকর্তা বলিয়৷ স্বীকার ও গ্রহণ করে, তাহারা সকলেই এই মহাঋণদায হইতে মুক্তিলাভ কবিতে পারে। তিনি তাহদেব পাপের জন্য দাযী হন , সুতরাং তাহাবা নির্দোষ বলিয়। পরিগণিত হয । অধিকন্তু ঈশ্ববীয় পবিত্র আত্মা দ্বারা তাহাদেব অন্তঃকরণ পরিস্কৃত হয় । তাহার। যতকাল জীবিত থাকে, তত কাল তাহীদের অন্তঃকবণে এই (নিযম) কাৰ্য্য চলিযা থাকে। তাহাদের মৃত্যু হইলে এই কাৰ্য্য সমাপ্ত হয় । যীশু খ্ৰীষ্টকে আপনাদের ত্রাণকর্তা বলিয়া বিশ্বাস করিলে সকলেই ঋণসদৃশ স্ব ২ পাপেৰ ক্ষমা লাভ কৰিতে পাবে। মনুষ্য স্বভাবতঃ আত্মাভিমানী , স্থতবাং কেহ একপ করিতে চায় না। আমরা স্বকীয় কল্পিত পুণ্যবলে এই মহাঋণদায় হইতে মুক্তিলাভ করিতে চেষ্টা কবি , কিন্তু ইহা নিতান্ত অসম্ভব ।