পাতা:এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(১৭)

দিতে তাহার কিছু আপত্তি ছিল বটে, কিন্তু তিনি তত সঙ্কুচিত হন নাই যেহেতু বাল্যবিবাহের দোষ এ সকল বিবাহে বিধিপূর্ব্বক নিবারণ করা হইয়াছিল। ব্রাহ্ম বিবাহের উদীচ্য কর্ম্মে এরূপ স্পষ্ট নিয়ম ছিল যে ঋতুমতী না হইলে পাত্রী পাত্রের সহিত সম্বন্ধ স্থাপন করিবেন না, তত দিন পর্য্যন্ত বিবাহ কেবল বাগ্দান স্বরূপ থাকিবে। যৌবনাবস্থা প্রাপ্তির পূর্ব্বে কন্যার প্রকৃত বিবাহ হওয়া অর্থাৎ পত্নী হওয়া নিষিদ্ধ, ব্রাহ্মসমাজে আইন হইবার অনেক দিন পূর্ব্ব হইতে এরূপ সংস্কার ছিল। যখন রাজবিধি প্রস্তুত হয় তখন কেবল এই নিয়ম বিধিবদ্ধ করা হইল। নারীজীবনে বাল্যাবস্থা কোন্‌ সময়ে যৌবনাবস্থায় পরিণত হয় তাহা নিৰ্দ্ধারণ করিয়া সেই সময় বিবাহোপযোগী বলিয়া নির্ণয় করা হইল। ডাক্তার চারলস সাহেব ১৪ বৎসর যৌবনাবস্থার প্রারম্ভ বলিয়া মত প্রকাশ করেন। আইনেও ঐরূপ ব্যবস্থা হইল। বাস্তবিক উক্ত বিধির মূল তাৎপর্য্য এই যে যৌবনারম্ভই কন্যার উপযুক্ত বয়স। এ নিয়ম বর্ত্তমান বিবাহে পূর্ণ হইয়াছে। সুতরাং কেশব বাবু সুনীতি দেবী বয়সসম্বন্ধে পূর্ব্ব বিশ্বাসের বিরুদ্ধ ব্যবহার করেন নাই।”

 বিবাহে আইন রক্ষণ হইল না সে কথা যাক্‌ কেশব বাবু কন্যার যৌবনারম্ভ অর্থাৎ ঋতু কালকেই বিবাহ কাল ভাবিতেন এ কথা কি যথার্থ? তিনি ব্রাহ্ম বিবাহ বিধি সংক্রান্ত আন্দোলনের সময় টাউন হলে যে বক্তৃতা করেন তাহার কিয়দংশ উদ্ধৃত করিতেছি।

 “Thirdly, we contemplate the abolition of early