পাতা:একঘরে - দ্বিজেন্দ্রলাল রায়.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
একঘরে।

নানাপ্রকার টিকী প্রদর্শিত হইয়াছিল ও তাহাদের নিম্নে (শুনিয়াছি) তাহাদের খরিদ দামও লিখিত হইয়াছিল, যথা:—

টিকী   দাম ওজন
ভাটপাড়ার ভট্টাচার্য্যের টিকী ৫৲ ১ ছটাক
 তর্কবাগীশের টিকী ৬॥৹
 ঐ (একটু মোলায়েম) ৭॥৴৹
নবদ্বীপের বিদ্যারত্নের টিকী ৯॥৵৹ ১॥৹ ছটাক
  পাকা ১০৷৴১৫
 চূড়ামণির টিকী ৭৸৶৹ ১ ছটাক
কলিকাতার শিরোমণীর টিকী ৩॥৴১০ ১৷৹,,
 ঐ তড়িন্ময় ৪৵১৫

 ইত্যাদি, ইত্যাদি। এরূপ প্রদর্শনী খোলার জন্য কালীসিংহ মহোদয় আমাদের বিশেষ কৃতজ্ঞতার পাত্র। কারণ এরূপ প্রদর্শনী—খুব কৌতুহলদায়ক ও শিক্ষাপ্রদ। আমি ধনী হইলে ঐরূপ প্রদর্শনী বৎসরে বৎসরে একবার করিয়া খুলিতাম।

 বাঙ্গালার কোন এক ব্রাহ্মণমহারাজের—(নাম করিলে মানহানির মোকদ্দমা হইতে পারে) সদাড়ি, দাড়িহীন নানাপ্রকার নানাজাতীয় রাঁধুনী ছিল। একদিন তাহার কুলগুরু (—টিকীওয়ালা) তাঁহাকে কহিলেন,—“আপনি হিন্দুরাজ হইয়া এরূপ নানাজাতীয় রাঁধুনী রাখিয়াছেন কেন?” মহারাজ উত্তর করিলেন যে, “হিন্দু রাঁধুনীতে ত মুরগী রাঁধে না, তাই মুসলমান রাখিতে হইয়াছে; আর মুসলমান ত শূকর রাঁধে না, তাই একজন হাড়ি রাঁধুনী রাখিতে হইয়াছে।” কুলগুরু কহিলেন—“এরূপ করিলে আমাদের আপনার বাটীতে আসা ভাল দেখায় না।” মহারাজ প্রশান্তভাবে উত্তর করিলেন যে, “আপনি আমার এখানে না আসিলে আমার যে বিশেষ ক্ষতি তাহা ত দেখিতে