তাহার জন্য চেষ্টা করিয়া থাকি। “অমুক লোক ভাল কাজ করিয়াছে,” “ঠিক্ করিয়াছে,” “ঠিক্ করে নাই,” “অমুক লোক সৎ” “অমুক লোক অসৎ”—আমাদের মধ্যে কে আছে যে এই সকল কথা ব্যবহার না করে? এমন কে আছে যে এই সকল কথা ব্যবহার করিবার জন্য জ্যামিতি কিম্বা সঙ্গীতের ন্যায় শিক্ষার অপেক্ষা রাখে? তাহার কারণ এই যে, আমরা ঐ সকল বিষয়ে যেন পূর্ব্ব-হইতেই শিক্ষিত হইয়া জন্মগ্রহণ করি; এবং গোড়ায় ঐ সকল সংস্কার লাভ করিয়া, আমরা পরে উহাতে আমাদের কতকগুলি নিজের মতামত যোগ করিয়া দেই।
যদি কাহাকে বলা যায়, তোমার এই কাজটি করা ভাল হয় নাই সে হয় তো বলিবে “কেন, ভাল মন্দ কাহাকে বলে আমি কি তাহা জানি না?—এ সম্বন্ধে আমার কি ধারণা নাই?”
—“হাঁ, তোমার ধারণা আছে সত্য।”
—“আর, ঐ ধারণা আমি কি প্রত্যেক পৃথক্ পৃথক্ বিষয়ে প্রয়োগ করি না?”
—“হাঁ, তুমি প্রয়োগ করিয়া থাক।”
—“আমি কি তবে ঠিক্মতো প্রয়োগ করি না?”
এইখানেই আসল প্রশ্ন আসিয়া উপস্থিত হইতেছে। এবং এইখানেই নিজের কল্পিত মতামত প্রবেশ করিবার অবসর পায়। সর্ব্ববাদি-সম্মত তাহা হইতে যাত্রা আরম্ভ করিয়া, ভ্রান্ত প্রয়োগের দ্বারা আমরা বাদবিসম্বাদের বিষয়ে অবতরণ করি। “তোমরা মনে করিতেছ, তোমাদের স্বাভাবিক সংস্কারগুলি, প্রত্যেক পৃথক্ পৃথক্ বিষয়ে তোমরা ঠিকমতো প্রয়োগ করিয়া থাক; আচ্ছা, তোমাদের এইরূপ বিশ্বাসের যে সকল বিষয় হেতু কি?”